মূল্যস্ফীতি ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের! রাজধানীতে জারি ১৪৪ ধারা জারি

 মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ করবে কংগ্রেস। যার অধীনে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) সদস্যরা এবং দলের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করার পরিকল্পনা করছেন।  এই কারণে, যন্তর মন্তর বাদে নয়াদিল্লী জেলার পুরো এলাকায় সিআরপিসির 144 ধারা কার্যকর করা হয়েছে।

 বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি।  তিনি বলেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি ভবনে পদযাত্রার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে 80 জনেরও বেশি দলীয় এমপিকে সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে যেতে দেওয়া হবে।  দলের মুখপাত্র সৈয়দ নাসির হুসেন বলেন, "আমাদের দলের দফতর-সাধারণ সম্পাদক, সিডব্লিউসি সদস্যরা এআইসিসিতে উপস্থিত থাকবেন এবং সেখান থেকে একটি পদযাত্রা করবেন।  রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন সব দলের সাংসদরা।  আমরা আগামীকাল মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে এবং দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য মিছিল করব।"

দলটি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করবে যাতে সিডব্লিউসি সদস্য এবং সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন।  CWC হল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক সংস্থা।  কংগ্রেস তার রাজ্য ইউনিটগুলিকে রাজ্য কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে 5 অগাস্ট রাজভবন ঘেরাওয়ের আয়োজন করতে বলেছে যাতে বিধায়ক, বিধান পরিষদের সদস্য, প্রাক্তন সাংসদ এবং রাজ্য ইউনিটের সিনিয়র নেতারা জড়িত থাকবেন।  দলটি আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পঞ্চায়েত থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা জেলা সদরে বিক্ষোভ করবে এবং তাদের গ্রেপ্তার করবে।  কংগ্রেসের আজকের বিক্ষোভকে সফল করতে সব সাংসদই চলো রাষ্ট্রপতি ভবন স্লোগান দিয়েছেন।

  কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি অভিযোগ করে আসছে যে, এটি শুধুমাত্র গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে ED-এর তদন্তে কাজ করে, জনসাধারণের উদ্বেগের কোনও সম্পর্ক নেই, তাই কংগ্রেস মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং জিএসটি ইস্যুতে জোরালোভাবে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ এখনও কাজ করছে৷