রক্তে উচ্চ শর্করা থাকা সত্ত্বেও, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভাত এবং মাটনের প্রেমী। ইডির হেফাজতে থেকেও বারবার এই খাবারের দাবী জানাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে এই কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ব্ল্যাক কফির সঙ্গে বাদাম, কাজু ও কিসমিসও দাবী করে আসছেন। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, উভয়ের শরীর ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ীই তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রথমে কালো চা এবং দুটি ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। সকালের জলখাবারে ওটমিল দেওয়া হচ্ছে। এক ঘন্টা পর ডায়েট চার্ট অনুযায়ী দুই ধরনের ফল দেওয়া হচ্ছে। রবিবার বিকেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাটন ও ভাত খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে মুরগির মাংস দেওয়া হয়েছিল। এরপর দেওয়া হয় মোসাম্বির জুস। প্রাক্তন মন্ত্রী সন্ধ্যায় পাকোড়া খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বিস্কুট দেওয়া হয়। এরপর রাতে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থকে দুটি রুটি ও সবজি দেওয়া হয়।
ইডি সূত্রে খবর, শুধু রবিবারই নয়, এর আগেও বহুবার ভাত খাওয়ার দাবী করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ভাত ছাড়া কিছু না খাওয়ার জন্যও অনড় ছিলেন তিনি। শেষে অর্পিতার কথা শুনে পার্থ ডাক্তারের ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খেতে রাজি হন।
ওদিকে অর্পিতার দিন শুরু হয় চিনি ছাড়া কালো চা দিয়ে। সকালের জলখাবারে সে ব্রাউন ব্রেড, সিদ্ধ ডিম এবং কলা খায়। ইডি সূত্রে খবর, এরপর তাকে ফলের রস খাওয়ানো হয়। দুপুরে ভাত, রুটি, মসুর ডাল, সবজি আর মাছ দিয়ে পেট ভরে। সন্ধ্যায় তাকে এক কাপ চা ও বিস্কুট দেওয়া হয়। রাতে দুটি রুটি এবং সবজি দেওয়া হয়।
শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এক মাসে ফলের পেছনেই খরচ করতেন আড়াই লক্ষ টাকা। তদন্তে পাওয়া এই তথ্যে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ ইডি আধিকারিকদের। তদন্তে দেখা গেছে যে, প্রতিদিন সাত থেকে আট হাজার টাকার ফল তাঁর বাড়িতে আসত, কলকাতার নিউমার্কেটের বিক্রেতাদের কাছ থেকে। যাঁদের কাছ থেকে ফল পার্থের বাড়িতে যেত, এখন ইডি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ তাদের সন্দেহ, এটি কালো টাকা সাদা করার একটি চক্রান্ত হতে পারে।
No comments:
Post a Comment