ক্যামিলি রোকসানা নামে ৩ বছর বয়সী একজনের শিশুর মৃত্যু হয় পেটে সংক্রমণ ধরা পড়ে।শিশুটির শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলাকালীন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের মাতম। তখনই জানা যায় মেয়েটি বেঁচে আছে। এটি অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা মেক্সিকোর। শিশুটির বেঁচে থাকার খবরে পরিবারে আনন্দের জোয়ার বইছে। কিন্তু পরের মুহুর্তে যা ঘটলো, তা আরো ভয়াবহ।
এই অদ্ভুত ঘটনাটি সেন্ট্রাল মেক্সিকোর সান লুইস পোটোসি রাজ্যের স্যালিনাস ডি হিলদাগো কমিউনিটি হাসপাতালের। ক্যামিলের মা মেরি জেন মেন্ডোজা জানান, তার মেয়ে ক্রমাগত বমি করছিল। তার পেটে ব্যথার পাশাপাশি প্রচণ্ড জ্বর ছিল। পরে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যামিলের বাবা-মাকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেছিলেন। পরে চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিয়ে প্যারাসিটামল খাইয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
মিরর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাড়িতে আনার পর ক্যামিলের অবস্থা আবার খারাপ হয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে আবার একই হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা ক্যামিলকে মৃত ঘোষণা করেন। মেরির মা ডাক্তারদের গাফিলতির অভিযোগ এনে বলেছেন, তারা যদি সময়মতো তাকে অক্সিজেন দিতেন, ক্যামিল হয়তো বেঁচে যেতে পারত ।
এর পরে পরিবারটি ভারী হৃদয় নিয়ে ক্যামিলের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু করে। এরপর নিহতের মায়ের চোখ তার কফিনের কাঁচের প্যানেলের দিকে যায়। মেরি লক্ষ্য করলেন ক্যামিলের চোখের পুতুল নড়ছে। যার উপর লোকেরা বলেছিল যে তারা অবশ্যই বিভ্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু মেরি যখন একই কথা বারবার বলতে শুরু করে, তখন লোকেরা ক্যামিলের পালস পরীক্ষা করে। যা প্রমাণ করে যে তিনি সত্যিই বেঁচে আছেন। এতে পরিবারে আনন্দের জোয়ার বইছে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামিলকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তাঁরা। তবে, ভাগ্যের অন্য পরিকল্পনা ছিল। ক্যামিল আবার শ্বাস বন্ধ করে। জেনারেল স্টেট অ্যাটর্নি হোসে লুইস রুইজ বলেছেন, বিষয়টি তদন্তাধীন।
No comments:
Post a Comment