আমাদের শরীর অনেক ধরনের শিরা এবং ধমনী দিয়ে গঠিত। দেহে উপস্থিত এই রক্তনালীগুলি হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের টিস্যুতে রক্তকে সামনে পিছনে বহন করার জন্য দায়ী। এই কারণেই একটি সুস্থ শরীরের জন্য, শরীরের অন্যান্য অংশের মতো রক্তনালীগুলির যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শিরাগুলো নরম ও নমনীয়, যার কারণে রক্ত সহজে প্রবাহিত হয়। আপনার স্নায়ু দুর্বল না হওয়ার জন্য কিছু ভাল অভ্যাস গ্রহণ করা উচিত।
দুর্বল স্নায়ুর কারণে হার্ট অ্যাটাক
যদি স্নায়ুর স্বাস্থ্যের যত্ন না নেওয়া হয়, তবে তাদের মধ্যে ময়লা জমতে পারে, যা দুর্বল এবং অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। কখনও কখনও শিরা ঘন বা শক্ত হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্নায়ু ও রক্তনালীকে সুস্থ রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই শারীরিকভাবে সক্রিয় হতে হবে। এছাড়াও একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য অনুসরণ করা উচিত।
স্নায়ু শক্তিশালীকরণ খাবার
১. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কোলেস্টেরলের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে, কোলেস্টেরল ধমনীতে আটকে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ। আপনার খাদ্যতালিকায় পরিশ্রুত শস্যের পরিবর্তে গোটা শস্য বেছে নিন এবং লবণাক্ত চিপস বা মিষ্টি ক্যান্ডির পরিবর্তে বেশি করে ফল ও শাকসবজি খান।
২. সবুজ শাক-সবুজ খান
সবুজ শাক রক্তনালীর জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করে আপনি স্নায়ুর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারেন। বায়োফ্ল্যাভোনয়েড হল ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায়, যা রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে। এর পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা স্নায়ুকে শক্তিশালী করে।
৩. লাল মরিচ এবং হলুদ খাওয়া
স্নায়ু শক্তিশালী করতে মশলা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ধমনী শক্ত হওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, লাল মরিচ রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে এবং আপনার রক্ত প্রবাহ ও সুস্থ সঞ্চালন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪. লবণ কম খান
আপনি যদি স্নায়ু সুস্থ রাখতে চান, তাহলে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দিন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্নায়ুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এর জন্য, আপনার প্রক্রিয়াজাত বা প্রি-প্যাকেজ করা খাবার এড়ানো উচিত, কারণ এতে সোডিয়াম বেশি থাকে। বিশেষ যত্ন নিন টিনজাত বা প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে তাতে সোডিয়ামের পরিমাণ দেখে নিন।
৫. জল খাওয়া
সুস্থ থাকার জন্য জল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের প্রায় 93% জল। স্নায়ু সুস্থ রাখতে দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করা উচিত। এর ফলে আপনার শরীরকে বেশিক্ষণ কাজ করতে হবে না।
No comments:
Post a Comment