দুর্বল জীবনধারা এবং ব্যায়ামের অভাবের কারণে, পেটের পেট বেড়ে যাওয়া আজকাল মানুষের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড়দের কথা বাদ দিন, আজকাল ছোট বাচ্চাদেরও স্থূলতার শিকার হতে দেখা যায়। এই স্থূলতা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, হাঁপানি, গ্যাস্ট্রিক সহ অনেক রোগ নিয়ে আসে। অতএব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, আপনার এই ওজন হ্রাস থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত। আজ আমরা আপনাকে স্থূলতা দূর করার ৪টি সহজ উপায় (ওজন কমানোর প্রতিকার) বলব। এই উপায়গুলি অবলম্বন করে আপনি এই মেদ বৃদ্ধির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সকালে এবং সন্ধ্যায় এক কাপ গ্রিন টি পান করুন
ক্রমবর্ধমান পেটের মেদ কমাতে গ্রিন টি-এর সাহায্য নিতে পারেন। গ্রিন টি-তে এমন উপাদান রয়েছে, যা চর্বি গলতে সাহায্য করে। আপনি প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় এক কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন। এই গ্রিন টি আপনাকে চিনি, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
সিদ্ধ জিরা জল একটি নিরাময়
পেটের ঝুলন্ত মেদ কমানোর দ্বিতীয় প্যানেসিয়া হল জিরা জল। এই জল ডিটক্সিফাইং উপাদান সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়। আপনি সকালে এবং সন্ধ্যায় খালি পেটে সিদ্ধ জিরা জল পান করুন। বলা হয়ে থাকে যে এটি করলে পেটের চর্বি দ্রুত কমতে শুরু করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের থেকে বেশি বৃদ্ধি পায়।
আজওয়াইন চাও একটি ভালো বিকল্প
শরীরের ওজন কমানোর জন্যও আজওয়াইন চা একটি দুর্দান্ত বিকল্প। পেটের মেদ কমাতেও আজওয়াইন চা খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি হার্ট ফিটনেসের জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার হিসাবে বিবেচিত হয়। ঠাণ্ডা ও জ্বরের ক্ষেত্রেও এটি খাওয়া খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে অনেক রোগে দারুণ উপশম পাওয়া যায়।
মৌরি, জিরা ও মেথিও উপকারী
এই প্রতিকারগুলি ছাড়াও, আপনার রান্নাঘরে উপস্থিত মেথি, জিরা এবং মৌরিও পেটের চর্বি কমাতে অনেক সাহায্য করে। জলে সেদ্ধ করে পান করলে বড় হওয়া পেট নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ওজন দ্রুত কমে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হাতের চা পান করলে শরীরের অনেক উপকার হয় এবং বদহজমের সমস্যা চলে যায়। এর ফলে ওজন কমার সমস্যাও শেষ হয়।
No comments:
Post a Comment