গরু পাচারের তদন্তে আরও তৎপর সিবিআই। গরু পাচার মামলার তদন্তকারী সিবিআই গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পেয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গরু পাচারের জন্য পাঁচ টাকার নোট ব্যবহার করা হয়েছিল এবং একই গরুর সাহায্যে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বীরভূমের অনেক গরুর বাজার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের নজরদারিতে রয়েছে। এসব গরুর বাজারের পেছনে গরু চোরাচালান একটি রমরমা ব্যবসা বলে সন্দেহ তাদের। গরুটি বীরভূম গরুর বাজার থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল।এরই মধ্যে গরু পাচারের অনেক অবৈধ করিডোর সামনে আসছে। এর মধ্যে একটি মুর্শিদাবাদ।
সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভাগীরথী নদীতে বেশ কয়েকটি অবৈধ চোরাচালানের ঘাট রয়েছে এবং এখানে পাচারকারীরা তথ্য পাচারের জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল। পাঁচ টাকার নোটে লেখা ছিল চোরাচালানের তথ্য। চোরাকারবারীরা প্রতিটি গরুর জন্য এক হাজার টাকা পেত। জমির ফসল নষ্ট করে গরু পাচার করা হত এবং গ্রামবাসী এই চোরাকারবারীদের ভয় পায়। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তবে এখন সিবিআইয়ের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় চোরাচালান বন্ধ হয়েছে। শনিবার সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগাল হুসেন গরু পাচারকারী এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করতেন এবং মধ্যস্থতা করতেন।
সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র মূলত বীরভূম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হত। মুর্শিদাবাদকে গরু চোরাচালানের করিডোর হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এটি ছিল বৃহত্তম করিডোর পাইকারি এলাকা। সূত্রের খবর, এখান থেকে বীরভূমের বাজার ও মুর্শিদাবাদের অন্যান্য বাজার থেকে গরু পাচার করা হত। পাচারের উদ্দেশ্যে সাগরদিঘী বাজার থেকে গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হয়। সাগরদিঘী এলাকার মিরপুর ঘাট, গোয়েশাবাদ এলাকার টিকলিপাড়া ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অবৈধ ঘাট। আর চোরাকারবারীরা এই এলাকা থেকে গরু পাচার করতে পাঁচ টাকার নোট ব্যবহার করে। এই নোটগুলি এখন বাজারে খুব কমই দেখা যায়, তবে এটি পশু পাচারকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, পাচার হওয়া গরুর তথ্য নোটেই লেখা ছিল।
No comments:
Post a Comment