তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তীর। শনিবার বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী। ব্যক্তিগত শত্রুতা না অন্য কোনও কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আহমেদাবাদের বাসিন্দা জানে আলম গাজি (৩২) শনিবার সকালে বাসন্তীর ভরতগড় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন কয়েকজন দুষ্কৃতী তার পথ আটকে দেয়। এরপর জানে আলমকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন। একটি গুলি তার বুকে লাগে। এতে জানে আলম গুরুতর আহত হন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জানে আলমকে প্রথমে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানে আলম মারা যান। জানে আলম স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি গুলির খোল পাওয়া গেছে। মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে না পারে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ চারজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই খুন হয়েছে। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীতি দাস বলেন, “আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যে লড়ছে তৃণমূল। ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের অস্থিরতায় একজনের মৃত্যু হলেও পুলিশ নীরবে সব দেখছে। সম্প্রতি ক্যানিংয়ে তিনজনকে খুন করা হয়েছে। বাসন্তীতে আবার যে খুন হল তা লজ্জা ছাড়া আর কিছু নয়।"
বাসন্তির বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিধায়ক বলেন, “আমাদের কর্মীকে দুষ্কৃতীরা নির্মমভাবে খুন করেছে। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে বলেছি।” বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিরোধের অভিযোগে শ্যামল মন্তব্য করেন, “এখানে সাম্প্রদায়িক বিরোধের কোনও বিষয় নেই। মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি।"
No comments:
Post a Comment