সেলিব্রেটিদের তালিকায় যেন আজকাল স্থান করে নিয়েছে চিতা। এদের নিয়েই যেন সর্বত্র আলোচনা। কারণ মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে আসা নামিবিয়ার ৮টি চিতা। প্রকৃতপক্ষে, ১৯৫২ সালে, চিতাকে ভারত থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও চিতা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, কিন্তু চিতা ও চিতাবাঘের মধ্যে পার্থক্য বলতে গেলে মানুষ হিমশিম খান। এই প্রাণীগুলি দেখতে একই রকম, তবে তাদের মধ্যে অনেক পার্থক্যও রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এদের আলাদা আলাদা চিহ্নিত করা হয় কীভাবে-
চিতা ও চিতাবাঘ দেখতে একই রকম, তবে চিতাবাঘের চেয়ে কিছুটা ছোট হয় চিতা। তাদের মাথাটাও একটু ছোট। চিতা পৃথিবীর দ্রুততম স্থলজ প্রাণী। এটি কয়েক সেকেন্ডে ৭২ মাইল প্রতি ঘণ্টার গতি ধরে। যদিও এই গতিতে সে খুব বেশি সময় ছুটতে পারে না।
চিতার শরীরে কালো দাগ রয়েছে। তাদের সবচেয়ে স্বতন্ত্র পরিচয় হল তাদের মুখের কালো ডোরা, যা চোখের কোণ থেকে মুখ পর্যন্ত রয়েছে। চিতা গর্জন করতে পারে না। আশেপাশে সিংহ না থাকলে সে শিকার করে।
চিতাবাঘ
চিতাবাঘের শরীরে গোল দাগ থাকে। এটিকে রোজেট-শৈলী চিহ্ন বলা হয়। শরীরের অন্যান্য অংশের মতোই চিতাবাঘের মুখেও কালো দাগ ছড়িয়ে আছে। চিতাবাঘের চোখ নীল এবং সবুজ দেখায়। চিতাবাঘ চিতার চেয়ে বড় এবং শক্তিশালী। চিতাবাঘের মাথা চিতার চেয়ে বড় এবং লম্বা। চিতাবাঘও সিংহের মতো গর্জন করে। চিতাবাঘরা অ্যামবুশে আক্রমণ করতে পারদর্শী।
চিতাবাঘের সামনের পা পেছনের পায়ের চেয়ে বড়। এ কারণে তারা শিকার নিয়ে গাছে ওঠে। তারা খাড়া পাহাড়ে আরোহণ করে। চিতা দিনে শিকার করে আর চিতাবাঘ প্রায়ই রাতে শিকার করে।
No comments:
Post a Comment