কর্পূর সাধারণত পূজা বা হবনে ব্যবহার করা হয় তবে এই চিমটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী। কর্পূরের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে যা আমরা জানি না। এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ। প্রাকৃতিক কর্পূর শরীরের অনেক সমস্যা দূর করতে পারে।
মাথাব্যথা উপশম
কর্পূর অনেক শীতলতা দেয়। মাথাব্যথার সমস্যা থাকলে অর্জুন ছাল, শ্বেত চন্দন ও শুঁথির সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে লাগালে মাথা ব্যথার উপশম হয়। মাথাব্যথা হলে অর্জুনের ছাল, শ্বেত চন্দন ও শুঁথি সমপরিমাণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাথায় লাগান, মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
চুল স্বাস্থ্যকর করা
কর্পূর চুলের খুশকি, শুষ্কতা, চুল পড়ার মতো সমস্যা দূর করে। কর্পূর মিশিয়ে নারকেল তেল লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুল ঝলমলে হয়। ঘন ও লম্বা চুল চাইলে নারকেল তেলে কর্পূর মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
ঠান্ডায় উপকারী
সর্দি ও ফ্লুতে কর্পূর খুবই উপকারী। সর্দি-সর্দি বা কাশি হলে উষ্ণ সরিষার তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে মালিশ করতে হবে। গরম জলে কর্পূর রেখে শ্বাস নিলে বন্ধ নাক খুলে যায় এবং সর্দি ও ফ্লুতে আরাম পাওয়া যায়।
ব্যাথা থেকে মুক্তি
পা ফোলা ও ব্যথার সমস্যা থাকলে কর্পূরের তেল মিশিয়ে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়। ক্লান্ত বোধ করলে তিল বা সরিষার তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে মালিশ করা উচিত।
ব্রণে উপকারী
কর্পূরের রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী। কর্পূর ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়। এটি ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রাখে যাতে ব্রণ না হয়।
দাগ অপসারণ
কারো মুখে পিম্পল-নখের ব্রণের দাগ থাকলে কর্পূর দিয়ে তা দূর করা যায়। নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে, এতে দাগ দূর হয় এবং ত্বক ভালো হয়।
No comments:
Post a Comment