পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে কুর্মিদের আন্দোলনের আজ চতুর্থ দিন। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়ায় কুর্মি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিতে অন্তর্ভুক্ত করা সহ একাধিক দাবীতে আন্দোলন চলছে। রেল ও সড়ক জ্যামও অব্যাহত রয়েছে। যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। দক্ষিণ পূর্ব রেলের অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অনেক ট্রেন নির্ধারিত গন্তব্যের আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, কলকাতার কাছে হাওড়ায়, আদিবাসীরা অযোধ্যা পাহাড়ে নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এর প্রভাব পড়েছে হাওড়া ও মধ্য কলকাতার যান চলাচলে।
ঝাড়গ্রামের খেমাসুলি এলাকায় রেল ও রাস্তা আটকে ধর্না কর্মসূচি পালন করছে আদিবাসী কুর্মি সম্প্রদায়। চতুর্থ দিনেও রেল ও সড়ক জ্যাম। টানা ৭৫ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও অবরোধ উঠানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
হাজার হাজার ট্রাক, পণ্যবাহী লরি এবং বহু যানবাহন ৬ নং জাতীয় সড়কে কুর্মি চলাচলের পরিপ্রেক্ষিতে পার্ক করা হয় এবং সেই গাড়ির সমস্ত কাঁচামাল, শাকসবজি এবং ফল নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার মালামাল। খাবার জল ও খাবারের সংকটে পড়েছে এসব যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। কবে অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। ৬ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে কোনও যানবাহন যাচ্ছে না। একই সঙ্গে লোধাসুলিতে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে কুর্মি উপজাতির লোকেরা জাম দিচ্ছে। এর জেরে ঝাড়গ্রাম অবরুদ্ধ। অন্যদিকে, খেমসুলিতে রেল অবরোধের জেরে খড়গপুর টাটা রেল লাইনে ট্রেন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। তাই ঝাড়গ্রাম পুরোপুরি হতবাক।
No comments:
Post a Comment