রাজ্য বিধানসভার বাইরে চা-ঝালমুড়ি, ঘুগনি, ফুচকার স্টল, আর সেগুলো বিক্রি করছেন বিজেপি বিধায়করা। এমনই বেনজির চিত্র দেখা গেল বৃহস্পতিবার। বিধানসভার মূল গেটের পাশে ফুটপাতে বিজেপি বিধায়কদের কাউকে দেখা যায় ঝালমুড়ি বিক্রি করতে, কাউকে বা ঘুগনি, আবার কাউকে দেখা যায় চা বিক্রি করতে।
সেই সঙ্গেই স্লোগান- ঘুগনি ঝালমুড়ি চা সব ১০ টাকা। কিন্তু হঠাৎ এমন কাণ্ড কেন? নিশ্চয়ই বিধায়কের কাজ ছেড়ে বাড়তি আয় এর উদ্দেশ্য নয়! আসলে মানুষের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই বিজেপি বিধায়কদের এই প্রতীকী প্রতিবাদ। তাদের প্রত্যেকের গলায় ঝোলানো প্ল্যাকার্ড, যাতে লেখা- আমার খোকা লুটবে বঙ্গ, করবে দেদার চুরি। তোমার খোকা বেচবে পুজোয় ঘুগনি-ঝালমুড়ি।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়গপুর স্টেডিয়ামে উৎকর্ষ বাংলা যোজনার মঞ্চ থেকে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের ঘুগনি-ঝালমুড়ি-চা-বিস্কুট বিক্রির পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন সামনেই পুজো, এত বিক্রি হবে, দিয়ে কুলোতে পারবেন না। শুধু খেটে হবে।
এদিন, বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়করা এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেন। এক বিধায়ক বলেন, আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রেস বাইট করে নিদান দিয়েছেন রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের উদ্দেশ্যে আমার সরকারি অফিসে শূন্যপদে আমি নিতে পারছি না টাকার অভাবে। ফলে চপ শিল্প, মুড়ি শিল্প, ফুচকা শিল্প এগুলো বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। তাই আমরাও প্রচার করছি, বেকার যুবক-যুবতীরা যাতে এভাবে কোটিপতি হয়।
খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'শুধু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোটিপতি হবেন, আর তার পরিবারের সবাই কোটিপতি হবে, আমাদেরও তো একটু কোটিপতি হওয়ার শখ জাগে। এজন্য আমরা প্রচারে নেমেছি।'
তিনি এও বলেন, 'আমাদের এখানে বিধায়করা ঠিক করেছেন নিজের এলাকায় এলাকায় আমরা এসব মুড়ি, ফুচকা, চপ বিক্রি করব, আর মানুষকে নিদান দেব মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোটিপতি হওয়ার জন্য চপ বিক্রি করো, মুড়ি বিক্রি করো।'
No comments:
Post a Comment