জুমার নামাজের সময় মসজিদের বাইরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, মসজিদের ইমাম সহ মৃত সাধারণ মানুষও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ঘটনা আফগানিস্তানের হেরাত শহরের।
পুলিশ জানায়, পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত শহরের একটি মসজিদের বাইরে বিস্ফোরণে তালেবান-সমর্থিত হাই-প্রোফাইল ইমাম ও সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। তালেবান আধিকারিকরা বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে মসজিদের মুহিবুর রহমান আনসারি নিহত হয়েছেন।
তারা আরও জানান, বিস্ফোরণে মসজিদের ইমাম মুজিহ আল-রহমান আনসারি নিহত হয়েছেন। তালেবানের একজন মুখপাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্ফোণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হেরাতের গভর্নরের একজন মুখপাত্র এই বিস্ফোরণের জন্য আত্মঘাতী হামলাকে দায়ী করেছেন। বিস্ফোরণের সময় মসজিদে জুমার নামাজ চলছিল বলে জানা গেছে। ওই আধিকারিক বলেন, নিহতদের সঠিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। আধিকারিকরা এও বলেন, হেরাতের গুজারগাহ মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আফগানিস্তানের মসজিদে এই বিস্ফোরণের দায় এখনও কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি। ইসলামিক এমিরেটের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদি একটি ট্যুইট বার্তায় আনসারির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে, হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের রেহাই দেওয়া হবে না।
হেরাতের মসজিদে বিস্ফোরণের পেছনের কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বিস্ফোরণে মারা যাওয়া ইমামের কথা শোনার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ জমা হতেন। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের দিন হওয়ায় মসজিদে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment