পুজো প্রাক্কালেই সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার ৬টি সোনার বিস্কুট। ঘটনায় একজন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। বাজেয়াপ্ত করা বিস্কুটের ওজন ১.২৬৮ কেজি, যার আনুমানিক মূল্য আনুমানিক ৬৪,৫৯,৯৭১টাকা। হাকিমপুর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে সীমান্ত চৌকি, ১১২ তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।
গোপন খবরের ভিত্তিতে কর্তব্যরত জওয়ানরা বাইকে থাকা এক ব্যক্তিকে থামিয়ে তল্লাশি করলে তার প্যান্টের পকেট থেকে স্বচ্ছ টেপে মোড়ানো ৬টি সোনার বিস্কুট বেরিয়ে আসে। জওয়ানরা অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত সোনা সহ পাচারকারীকে ধরে ফেলে এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে। ধৃত পাচারকারীর নাম আবদুর রহমান মৌলা (৩৩), জেলা উত্তর ২৪ পরগনা।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরণের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। সে আরও জানান, এই সোনার বিস্কুটগুলো স্বরূপদা বাজারের মোজাফফর দফাদারের কাছ থেকে এবং পরবর্তীতে দত্তপাড়া গ্রামের মোশাররফ সরদারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল, তার আগেই বিএসএফ তাকে ধরে ফেলে।
১১২তম কোরের কমান্ডিং অফিসার বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে এবং এ কাজে সাফল্যও পেয়েছে, যার কারণে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িতরা।
উল্লেখ্য, সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানরা সেপ্টেম্বর মাসে চারবার সোনা চোরাকারবারীদের ধরেছে। বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এদের ধরা হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মনে করেন বিএসএফ কর্তারা। উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বিএসএফ দাবী করেছে যে, চোরাকারবারীরা বিশেষ করে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ সীমান্ত ব্যবহার করে সোনা পাচারের উদ্যোগ নিয়েছে। সোনার পাশাপাশি রূপার গয়নাও সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়। তাদের দাবী, চোরাকারবারীরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করছে। পণ্যবাহী লরির পরিবর্তে ছোট যান, বাইক বেশি বেছে নেওয়া হচ্ছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, তারা আগে যে তথ্য পেয়েছে, তাতে বোঝা যায় চোরাকারবারীরা বাংলাদেশে ফেরার পথে স্বর্ণ পাঠানোর জন্য কিছু লরি চালক বা বেলিফ ব্যবহার করেছিল।
No comments:
Post a Comment