বাদাম ও খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়। বাদাম প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। একই সময়ে, খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। কার্বোহাইড্রেট, ক্যালরি, স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ফাইবার এবং পটাসিয়াম পাওয়া যায় খেজুরে। যাইহোক, বেশিরভাগ মানুষ বাদাম এবং খেজুর খান। তবে আপনি চাইলে খেজুর ও বাদামও একসঙ্গে খেতে পারেন। খেজুর ও বাদাম হার্ট ও পাকস্থলীর জন্য খুবই ভালো। খেজুর এবং বাদাম একসাথে খেলে স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যায়।
খেজুর ও বাদাম খাওয়ার উপকারিতা -
শক্তি বৃদ্ধি
কিভাবে শক্তি বাড়ানো যায়? ক্লান্তি এবং দুর্বলতা এড়াতে, সারাদিন কাজ করার জন্য উদ্যমী হওয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উজ্জীবিত থাকতে খেজুর এবং বাদাম খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর ও বাদাম খেলে সারাদিন শক্তি থাকে। এটি আপনাকে শীঘ্রই ক্লান্ত করবে না, আপনি সুস্থ এবং ভালও অনুভব করবেন।
ত্বকের জন্য উপকারী
সবাই চায় উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বক। এর জন্য আমরা প্রায়ই ক্রিম, সিরাম ইত্যাদি ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর ও বাদাম অন্তর্ভুক্ত করেও উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
রক্ত বৃদ্ধি
রক্ত বৃদ্ধির প্রতিকার: সুস্থ থাকতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত থাকা খুবই জরুরি। যখন রক্তস্বল্পতা হয়, তখন একজনকে রক্তস্বল্পতার উপসর্গের মুখোমুখি হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে রক্ত বাড়াতে আপনার খাদ্যতালিকায় খেজুর ও বাদাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। খেজুর ও বাদামে রয়েছে আয়রন, যা শরীরে রক্ত বা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
হাড় শক্তিশালী করা
কিভাবে হাড় মজবুত করা যায়? হাড় মজবুত করতে খেজুর ও বাদাম একসঙ্গে খেতে পারেন। এই দুটিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে। হাড়ের ব্যথা হলে আজ থেকেই খেজুর ও বাদাম খাওয়া শুরু করুন।
খেজুর ও বাদাম কিভাবে খাবেন?
আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেজুর এবং বাদাম খেতে পারেন।
খেজুর ও বাদাম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
খেজুর ও বাদাম ভিজিয়েও খেতে পারেন। দুটোই সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এগুলো খেতে পারেন।
আপনি চাইলে নাস্তা হিসেবে খেজুর ও বাদামও খেতে পারেন।
খেজুর এবং বাদাম খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই তাদের উভয়কেই আপনার খাদ্যের অংশ করতে হবে। তবে বেশি পরিমাণে খেজুর এবং বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ খেজুর এবং বাদামের উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে, এটি আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment