হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রাজু সাহনি গ্রেফতার হয়েছেন। লক্ষাধিক টাকার নগদ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। তৃণমূলের ওই নেতাকে গ্রেফতারের পরই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবী করেন, এভাবে আরও অনেককে গ্রেফতার করা হবে। দলের অর্ধেক নেতা জেলে যাবে। উল্লেখ্য, বঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর, গরু চোরাচালান মামলায় হেভিওয়েট নেতা তথা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং এখন হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহনির চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতারের পর তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।
চিটফান্ড মামলায় চেয়ারম্যান রাজু সাহনির গ্রেফতার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা সবে শুরু হয়েছে। আরও অনেকে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে চলছে নানা ধরনের তদন্ত। সব সরকারি অফিসে দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার মানুষ চায় এর দ্রুত অবসান হোক। তদন্তও একই দিকে এগোচ্ছে। তদন্ত চলতে থাকলে দলের অর্ধেক নেতা-মন্ত্রী জেলে যাবে।'
এর আগে শুক্রবার, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও দাবী করেছিলেন যে, আরও অনেক লোককে গ্রেফতার করা হবে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার দাবী করেন, বড় কিছু হতে পারে। আরও অনেককে গ্রেফতার করা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। বিরোধীদের একাংশের উত্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সেটিংয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কোনও বোঝাপড়া হয়নি, আমরা আগেই বলেছি। এটা প্রমাণিত হয়েছে। দিদি ফেরার পর জেলে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।দিদির আদরের ভাই কেষ্ট (অনুব্রত মণ্ডল) জেলে গেছেন। আজ বড় অঘটন ঘটতে পারে, সাবধান।"
রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে আশি লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সিবিআই তাকে কলকাতা অফিসে নিয়ে এসেছে এবং আজ তাকে আদালতে পেশ করা হবে এবং সিবিআই হেফাজত চাইবে। এরই মাঝে শনিবার সকালে দিলীপ ঘোষ এমন বিস্ফোরক দাবী করেন।
No comments:
Post a Comment