'পুরো ঢপবাজি চলছে', এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন তিনি এবং সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে সুর চড়ান দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যে ঘুগনি ও চপ শিল্প প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে যখন আর কোনও দিশা থাকে না, তখন মানুষকে এভাবেই ভুলিয়ে রাখতে হয়। সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। লক্ষ্য নেই, উদ্দেশ্য নেই, রোড ম্যাপ নেই। ট্রেনিদের কাগজ ধরিয়ে বলছে চাকরি দিলাম। পুরো ঢপবাজি দিয়ে চলছে। ওদিকে কেজরিওয়াল মুখ থুবড়ে পড়েছেন। এদিকে মমতা মুখ থুবড়ে পড়েছেন।'
তিনি আরও বলেন, আগে বলেছিলেন নিয়োগপত্র দেবো পুজোর আগেই, আপনার উপস্থিতির জন্য প্রতি মাসে এগারো হাজার? কিসের চাকরি? কিসের ট্রেনিং? সব কোম্পানিকে ভয় দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে কথা না শুনলে টাটার মতো পরিণতি হবে। এইভাবে বাংলার ছেলেদের বেকুব বানানো হচ্ছে।'
অন্যদিকে জিতেন তিওয়ারির বিরুদ্ধে সিআইডি নোটিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'রাজ্যে জিতেন তিওয়ারি ছিলেন। রাজ্যে সিআইডিও ছিল। হঠাৎ কেন মনে হল উনি কয়লা কাণ্ডে যুক্ত? আগে কেন মনে হয়নি। কি দেখাতে চাইছে? এরাই কয়লা চোরকে টাকা পাঠিয়ে দিত। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এরপর সিআইডি তদন্ত ধোপে টিকবে কি? এগুলো আমাদের ডিস্টার্ব করার চেষ্টা।'
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'ভাবুন একবার। রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যার হাত থেকে জীবনের প্রথম সার্টিফিকেট নিয়েছে, সে আজ চুরির দায়ে জেলে। যে লোকের জীবনী রাজ্যের ছেলেমেয়েরা পড়ছে, সেই শিক্ষামন্ত্রী জেলে। গোটা শিক্ষা দফতর চোরেদের আড্ডা। বাংলার কপালে এরকম খারাপ সময় আগে আসেনি।'
তিনি বলেন, 'বাইরে গেলে কটাক্ষ শুনতে হয়। বলা হয়, বাংলায় টাকা নেই? এই তো বান্ডিল বান্ডিল টাকা।'
পার্থকে এবার সিবিআই হেফাজতে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'স্বাভাবিক। এতো বড় দুর্নীতি। ওনার নেতৃত্বে দুর্নীতি। হাজার হাজার মানুষ সুবিধা নিয়েছে। আর শোষিত হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। ঐতিহাসিক চুরি। এর জল অনেক দূর গড়াবে। কাউকে ছাড়া হবে না।'
এছাড়াও কান্দু খুনে আরও একজনকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পুরসভা দখল করতে হবে। অতএব খুন করে দাও। এই রাজনীতি বাংলায় কোনও দিন আমরা কল্পনা করিনি। যে দলেরই হোক, এইভাবে মেরে ফেলবেন? অন্যায় ছেয়ে গেছে রাজ্যে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। ভিনরাজ্যের দাগীরা এখন এ রাজ্যে আশ্রয় নেয়।'
No comments:
Post a Comment