'দিদি তো পালিয়ে গিয়েছেন', মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। নবান্ন অভিযানের পরের দিন অর্থাৎ বুধবার নিউটাউনে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ সেখানেই এই মন্তব্যের পাশাপাশি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনার প্রসঙ্গে মুখ খোলন তিনি৷
নবান্ন পর্যন্ত যেতে দেওয়া হলে আপনারা কি করতেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘নবান্নে বসে বিক্ষোভ দেখাতাম৷ দিদি তো পালিয়ে গিয়েছেন, সেখানে তো করার কিছু ছিল না। এটা তো একটা প্রতীকী প্রতিবাদ৷ ঘর ভেঙে দেওয়া, দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া কিংবা অফিসটা পুড়িয়ে দেওয়া এরকম তো নয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছেন, আন্দোলন লগ্নে জন্মগ্রহণ করেছেন৷ তাহলে আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’
এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কানে আওয়াজটা দিতে গিয়েছিলাম যে চোরদের নিয়ে রাজনীতি করছেন, সরকার চালাচ্ছেন ওদের তাড়ান৷ যে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী পড়াশোনা করে রাস্তায় বসে আছে যাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে, তাদের কথা ভাবুন। যে সাড়ে দশ কোটি বাঙালির মাথা নত করে দিয়েছেন দুর্নীতি করে, তাদের কথা ভাবুন৷ তারা কষ্টের মধ্যে আছে এই কথাগুলো বলতে এসেছি৷ তাতে এত ঘাবড়ে যাওয়ার কি আছে?’’
বিজেপি কার্যালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘পুলিশের যে এই অতি উৎসাহ এবং অতি সক্রিয়তা, এটাই আমাদের চিন্তায় ফেলেছে- যে ব্যাপারটা কি? সরকার কি আমাদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে মারবে? দুদিন ধরে গ্রেফতার করা শুরু করেছে। ট্রেনে উঠতে দেয়নি। গাড়ি আটকেছে৷ গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে৷ নিউটাউন থেকে বাস করে আমাদের কর্মীরা যাচ্ছিল, সেই সময় ৬০ জন কর্মীকে তুলে নিয়ে আটক করেছে।"
তিনি বলেন, "পুলিশ ভয় পেয়েছে৷ বেশি লোক হলে সমস্যা হবে৷ কিন্তু অভিযান শেষ হওয়ার পরে যে পদক্ষেপগুলো করেছে, সেগুলো তো ঠিক নয়৷ কারণ অভিযানে কিছুই হয়নি৷ তার আগেই লাঠি চালিয়েছে, জল ছুড়েছে৷ সব হয়েছে মেনে নিয়েছি আমরা৷ তারপরেও রাস্তায় ধরে ধরে কর্মীদের মেরেছে। স্টেশনে ও পার্টি অফিসে ঢুকে মেরেছে৷ এই অতি সক্রিয়তা গণতন্ত্রের মোটেই ঠিক নয়।"
শান্তিপ্রিয় কর্মীদের উত্তেজিত করে এই ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হয়েছে, বলেও দাবী করেন দিলীপ ঘোষ।
No comments:
Post a Comment