হবনের‌ পরও বিয়ে হয়নি, রাগে পুরোহিতের কান কাটলেন ছেলের বাবা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 30 September 2022

হবনের‌ পরও বিয়ে হয়নি, রাগে পুরোহিতের কান কাটলেন ছেলের বাবা


এক পুরোহিতের কান কেটে ফেলার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার চন্দন নগর থানা এলাকায়। বর্তমানে পুরোহিতের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা রুজু করে খুব নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করেছে।


জানা গিয়েছে, চন্দন নগর এলাকার বাসিন্দা রাধেশ্যামের ছেলের বহু বছর ধরে বিয়ে হচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পরিচিতরা তাঁদের রাজস্থানের পুরোহিত অরুণ শর্মা সম্পর্কে তথ্য দেন। তারা আরও বলেন, রাজস্থানের পুরোহিত অরুণ শর্মা যদি বাড়িতে এসে হবন (যজ্ঞ) করেন, তাহলে ছেলের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যাবে। 


তথ্য অনুযায়ী, রাধেশ্যাম শর্মা রাজস্থানে বসবাসকারী অরুণ শর্মার সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং তার সাথে কথা বলেন। অরুণ শর্মাকে তাদের বাড়িতে হবনের জন্য ডেকে পাঠান এবং তিনি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এসে ছেলের যেন তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়, তার জন্য হবন-পূজা করেন। এরপর ফিরে যান নিজ গ্রামে রাজস্থানে। এদিকে রাধেশ্যামও হবন-পূজার পর নিশ্চিত হন যে, তাঁর ছেলের বিয়ে হবে শীঘ্রই।


কিন্তু, বহুদিন কেটে গেলেও যখন ছেলের বিয়ের কোনও আশা দেখা যায়নি, তখন তিনি রাজস্থানে বসবাসকারী পণ্ডিত অরুণ শর্মাকে বাড়িতে আবারও হবন করতে বলেন। ডাক পেয়ে ইন্দোরের চন্দন নগর থানা এলাকায় রাধেশ্যাম শর্মার বাড়িতে পৌঁছে যান অরুণ শর্মা।  সেখানে গিয়ে হবন-পূজা শুরু করেন তিনি। 


অভিযোগে, এই সময়ে পণ্ডিত অরুণ শর্মার সঙ্গে বিবাদ শুরু করেন রাধেশ্যাম শর্মা। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে রাধেশ্যাম শর্মা তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পণ্ডিত অরুণ শর্মার কান কেটে দেন।


এরপরই পণ্ডিত অরুণ শর্মা চন্দন নগর থানায় অভিযোগ নিয়ে যান। তিনি পুলিশকে দেওয়া অভিযোগে, অভিযুক্ত রাধেশ্যাম শর্মার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।


চন্দন নগর থানায় উপস্থিত তদন্তকারী আধিকারিক বিশাল পরিহারও বলেন, রাজস্থানে বসবাসকারী পণ্ডিত চন্দন নগর এলাকায় বসবাসকারী অভিযুক্ত রাধেশ্যাম শর্মার বাড়িতে হবন করতে এসেছিলেন, যাতে তার ছেলের বিয়ে তাড়াতাড়ি হয়। এই সময় হবন পূজার পর বিবাদের জেরে পুরোহিতের কান কেটে দেওয়া হয়।  বর্তমানে পুরো ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad