স্কুলের নিচের তলায় জমে আছে জল। সেই জলে কিলবিল করছে মাছ। সেই মাছ ধরতে আবার বাইরের ছেলেরাও হচ্ছে জড়ো। এমনকি স্কুলের মধ্যে বসবাস করছে বেশ কয়েকজন মিতাও। তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হাতে ভাড়াও দিচ্ছে, এমনও অভিযোগ রয়েছে। এসবের মধ্যেই যদিও চলছে পড়ুয়াদের ক্লাস। হাওড়ার সাঁতরাগাছি মিক্সড হাইস্কুলের চিত্র এটি। ভাবতে অবাক লাগলেও বিষয়টি সত্যি।
জানা গিয়েছে, স্কুলটি তেলুগু মাধ্যমের। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে এখানে, যদিও তাদের সংখ্যাটা খুবই কম। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে রয়েছে এই স্কুলটি। রাজ্য সরকারের অধীনে এই স্কুলটি হলেও জায়গাটি রেলের থেকে লিজ নেওয়া। গত চারদিন আগে এখানে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু স্কুলের নিচের তলায় জল এখনও ভর্তি। স্কুলের প্রধান সিঁড়ির নীচে জল জমে থাকায় বাইরে থেকে একটি লোহার সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। সেখান দিয়েই পড়ুয়ারা ওঠা-নামা করে।
অভিযোগ, এই স্কুলের নীচে প্রায় বারো মাসই জল থাকে। সেখানে বসবাসকারী এক মিতা জানান, তারা স্কুল ছুটির আগে বেড়িয়ে যান ও স্কুল শেষ হয়ে গেলে এখানে আসেন। তিনি জানান, সবাই মিলে কোনও মাসে ১২০০ তো কোনও মাসে ১৬০০ টাকা প্রধান শিক্ষকের হাতে দেন। আর প্রশ্নটা ঠিক এখানেই। কীভাবে একটি সরকারি স্কুলে মিতারা বসবাস করতে পারেন? কীভাবে তারা প্রধান শিক্ষকের হাতে ভাড়া দিতে পারেন?
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায়, মিতারা থাকে এখানে। ওদের দিয়েই আমরা স্কুল ও আগাছা পরিষ্কার করিয়ে নিই। তিনি এও বলেন, স্কুল মেন্টেনেন্স ওদের দিয়েই করিয়ে নেওয়া হয়। তবে ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারটি তিনি এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। হাওড়াতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার মধ্যেই প্রায় দশ মাস ধরে জলের উপর চলছে সরকারি স্কুল।
No comments:
Post a Comment