'টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয়েছে', মোলডাঙ্গ কাণ্ডে বিস্ফোরক লকেট - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 21 September 2022

'টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয়েছে', মোলডাঙ্গ কাণ্ডে বিস্ফোরক লকেট


শিশুকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত বীরভূমের  শান্তিনিকেতন। বুধবার শান্তিনিকেতনের মোলডাঙ্গা এলাকায় মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। ঘটনার পিছনে পুলিশ ও তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে, গ্রামবাসীরা বিজেপি নেত্রীকে গ্রামে ঢুকতে না দিয়ে তাকে ঘেরাও করে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেয়। গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ায় সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি শান্তিনিকেতন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান এবং দোষীদের শাস্তির দাবী জানান। 


মোলডাঙ্গায় শিশু খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লকেট চ্যাটার্জি বলেন, 'তল্লাসির পরেও কেন শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেন ৫২ ঘণ্টা পর পাশের বাড়ির ছাদ থেকে শিশুর দেহ পাওয়া গেল। পুলিশ বলছে, বন ও আশেপাশের এলাকায় স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাসি চালানো হয়েছে। এই ঘটনা ঘটলে কেন প্রথমে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া গেল না?'


রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি সাংসদ বলেন, "শিশু খুনে অভিযুক্ত মহিলার ভাই অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ির চালক। পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছে, এর জন্য পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডা দায়ী। সত্য প্রকাশ করতে না পারে সেজন্য ১০ লাখ টাকা দিয়ে ওই শিশুর মা ও বাবার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।"


এদিকে, শিবমের খুনের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক রং চাইছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁদের কথায়, “প্রশাসন আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা কোনও ধরনের রাজনৈতিক দল চাই না এবং বিজেপিকে একেবারেই চাই না।” লকেট অবশ্য বলছেন, তৃণমূলের গুন্ডারা এমন কথা বলছে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ দেখে লকেট সেখান থেকে চলে যান এবং পরে শান্তিনিকেতন থানার সামনে ধর্না দেন।


উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ১০ টার সময় বাড়ির সামনের দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর পাঁচেকের শিশু শিবম ঠাকুর। এরপর গোটা গ্রাম জুড়ে শিশুটির খোঁজ শুরু হয়। সন্ধান না মেলায় অভিযোগ জানানো হয় পুলিশে। পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাসি চালিয়েও শিবমকে পাওয়া যায়নি। দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর শেষমেশ মঙ্গলবার প্রতিবেশী রুবি বিবির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় ৫ বছরের শিবমের মৃতদেহ। অপহরণ করে খুনের ওঠে অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। খবর চাউর হতেই এলাকায় উত্তেজনা, রাগে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাংচুর, এমনকি আগুনও ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। 


পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় ৬টি পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। বুধবার অভিযুক্ত রুবি বিবিকে বোলপুর ডিভিশনাল কোর্টে পেশ করা হয়, যেখান থেকে তাকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad