খরমুজ জুলাই-আগস্ট মাসে রোপণ করা যেতে পারে। অক্টোবর-নভেম্বরে দীপাবলির সময় চাহিদা ভালো থাকে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ফসল প্রস্তুত হয়।
নদী তীরবর্তী বালুকাময় জমিতে খরমুজ চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। দিনে গরম থাকে এবং রাতে বালি ঠান্ডা থাকে, তাই দিন এবং রাতের তাপমাত্রার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এমন জায়গায় বেড়ে ওঠা খরমুজ বেশি মিষ্টি হয়।
চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে হবে। তির্যকভাবে জমি চাষ করে মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। বীজ বপনের জন্য প্রায় 5 ফুট থেকে 6.67 ফুট দূরত্বে 1.33 ফুট চওড়া এবং 1.33 ফুট গভীর করতে হবে। প্রতিটি কন্দে 4 থেকে 5টি বীজ বপন করতে হবে। চারা গজানোর পর 2 থেকে 3টি রাখতে হবে এবং অবশিষ্ট গাছগুলো তুলে ফেলতে হবে।
খরমুজ গাছ এক ধরনের আরোহণকারী উদ্ভিদ, তাই গাছ বেশি লাগাবেন না, মাটি যতটা সম্ভব পাতলা রাখতে হবে। এই গাছটি খুব অল্পদিনের হয়। খরমুজ ফল ধরার দেড় থেকে দুই মাস পর মাটি থেকে তুলে ফেলা যায়।
সাধারণত নদীর তীর ঘেঁষে বালুকাময় মাটিতে খরমুজ জন্মে। তাদের জন্য আলাদা কোনও সার প্রয়োগ করা হয় না। তবে ভালো ফলন পেতে হলে একটু সার যোগ করতে হবে। 40 কেজি গোবর, 250 গ্রাম ইউরিয়া সার, 300 গ্রাম টিএসপি সার এবং 200 গ্রাম পটাশ দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment