হিজাব না পরার কারণে এক মার্কিন মহিলা সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে হিজাব ইস্যুটি উত্তপ্ত এমন এক সময়ে এই বিষয়টি সামনে এসেছে।
উল্লেখ্য, হিজাবের নিয়ম ভাঙার দায়ে পুলিশ হেফাজতে এক মহিলার মৃত্যুর পর মানুষ ক্ষেপে রাস্তায় নেমে এসেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ছিল সিএনএন-এর প্রধান আন্তর্জাতিক উপস্থাপক ক্রিশ্চিয়ান ইমানপুরের সঙ্গে। কিন্তু, সাংবাদিক হিজাব পরতে অস্বীকার করার পর তা বাতিল করা হয়। খ্রিস্টান ট্যুইট করেন যে তাকে মাথায় স্কার্ফ পরতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকার করেছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই সাক্ষাৎকার বাতিল করা হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য খ্রিস্টান ৪০ মিনিট অপেক্ষা করেন, কিন্তু তিনি আসেননি। মহিলা সাংবাদিককে বলা হয়েছিল যে এটি মহরম মাস, তাই মাথায় স্কার্ফ পরতে হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা নিউইয়র্কে আছি এবং এখানে মাথার স্কার্ফ সংক্রান্ত কোনও আইন নেই। ইরানের বাইরে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এর আগে কোনও ইরানি প্রেসিডেন্ট এমন দাবী করেননি।"
একই সঙ্গে হেফাজতে থাকা অবস্থায় মহিলার মৃত্যুর পর ইরানের ধর্মীয় পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার আধিকারিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। ইরানে ওই তরুণীর মৃত্যুর পর সহিংসতা শুরু হওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হওয়ার পর এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ধর্মচর পুলিশই গত সপ্তাহে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনীকে আটক করে বলেছিল যে সে হিজাব দিয়ে তার চুল ঠিকমতো ঢেকে নেই। আমিনী একটি থানায় তিন দিন পরে মারা যান।
No comments:
Post a Comment