ফল এবং শুকনো ফল খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। আজ আমরা আঙ্গুর এবং কিসমিস থেকে তৈরি করা কথা বলছি। আঙুর এমন একটি ফল যার টক-মিষ্টি স্বাদ অনেককেই তাদের প্রতি আকৃষ্ট করে। অন্যদিকে, আঙুর শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়, যা অনেকেরই পছন্দ। এটি মিষ্টি এবং মিষ্টি থালা সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। আঙ্গুরে 80 শতাংশ জল থাকে, যেখানে কিশমিশে জলের পরিমাণ মাত্র 15 শতাংশ।
এখন প্রশ্ন উঠেছে যে যখন আঙ্গুর এবং কিশমিশ উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তখন কোন জিনিসটিকে বেশি স্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা উচিত? গ্রেটার নয়ডার জিআইএমএস হাসপাতালে কর্মরত বিখ্যাত ডায়েটিশিয়ান ডাঃ আয়ুশি যাদব এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
কিশমিশে বেশি ক্যালরি আছে, আঙুরের চেয়ে কিশমিশে বেশি ক্যালরি পাওয়া যায়। আসলে আঙ্গুর শুকানোর পর কিসমিস তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় চিনি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যবহার করা হয় যা ক্যালোরি আকারে রূপান্তরিত হয়। আধা কাপ আঙুর খেলে মাত্র 30 ক্যালরি পাবেন, একই পরিমাণ কিশমিশ খেলে শরীরে 250 ক্যালরি পাওয়া যাবে।
কিশমিশকে আঁশের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এর বাইরে আয়রন এবং পটাসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান এই শুকনো ফলের মধ্যে পাওয়া যায়। কিশমিশের প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আঙুরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, এই দুটি পুষ্টি উপাদানই আমাদের ত্বকের কোষকে তরুণ রাখতে সাহায্য করে । এটি আপনার ত্বককে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রশ্মি থেকেও রক্ষা করে। আপনি যদি আঙ্গুর খান তাহলে মুখের কালো দাগ ও বলিরেখা কমতে শুরু করবে।
উভয় জিনিসই স্বাস্থ্যের জন্য নিজস্ব উপায়ে উপকারী, তবে আঙ্গুরকে আরও স্বাস্থ্যকর হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ যে জিনিসটিতে ক্যালোরি কম তা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তাই ফলটিকে আসল আকারে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
No comments:
Post a Comment