মহালয়া উপলক্ষে রবিবার সকালে গঙ্গার ঘাটে পূর্বপুরুষদের নিবেদন করা হয়, তাই আজ মা দুর্গার প্রতিমার চক্ষু দান করার রীতি রয়েছে। বর্তমানে রাজপরিবার বা রাজপরিবার না থাকলেও বাংলার পুরোনো রাজবাড়িতে দেবী দুর্গার পূজার প্রচলন রয়েছে। পুরানো ঐতিহ্য অনুসারে, দুর্গা পূজা অনেক আড়ম্বর এবং রীতির সাথে অনুসরণ করা হয়, যদিও জলপাইগুড়ি-বৈকণ্ঠপুর রাজপরিবারে প্রতিদিন সোনার মূর্তি পূজা করা হত, তবে মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গার চক্ষু দান করার প্রথা রয়েছে।
রবিবার মহালয়ার দিন জলপাইগুড়ি, বৈকণ্ঠপুর রাজপরিবারের পুরোহিত শিবু ঘোষাল মোমের শিখায় লতা পাতা থেকে কাজল তৈরি করে সেই কাজল দিয়ে দুর্গার চোখ দেন। সেই সঙ্গে মৃন্ময়ী প্রতিমার চক্ষুদানের প্রথাও সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি বৈকণ্ঠপুর রাজ এস্টেট শিশু সিং শুরু করেছিলেন। কথিত আছে, শিশু সিং ও বিশু সিং মাটির মূর্তি তৈরি করে প্রথম দুর্গাপূজা করেছিলেন। তখন থেকেই এই দুর্গা পূজা শুরু হয়। পরে শিশু সিং জলপাইগুড়ি বৈকণ্ঠপুর রাজ এস্টেটের রাজা হন এবং বিশু সিং কোচবিহারের মহারাজা হন। বর্তমানে রাজা নেই, তবে রাজপরিবারের প্রাচীন ঐতিহ্য রয়ে গেছে। জলপাইগুড়ি বৈকণ্ঠপুর রাজ এস্টেটের দুর্গাপূজা এখনও সেই কড়া নিয়মেই পালিত হয়। জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির দুর্গাপূজা ৫১৩ বছরে পা দিল। নিয়ম অনুযায়ী রাজবাড়ীতে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। জন্মাষ্টমীর পরের দিন নন্দোৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই দিন মূর্তি পুজো করা হয়।
No comments:
Post a Comment