এক পাগল প্রেমিক তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিল্লিতে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পারলে বিরোধিতা করেন। ঘটনাটি পানাপুর থানা এলাকার ধনৌটি গ্রামের। লোকটির প্রথম বিয়ে ২০১৫ সালে হিন্দু রীতিনীতির সাথে অনেক ধুমধাম করে সম্পন্ন হয়েছিল। প্রথম স্ত্রী অঞ্জলি দেবীর সঙ্গে তাঁর দুটি সন্তান ছিল। প্রথম সন্তান মাহি যার বয়স ৬ বছর এবং দ্বিতীয় টুকটুক যার বয়স ৩ বছর। আমরা যদি প্রথম শিকারের স্ত্রীর কথা শুনি, ২০২০ থেকেই পাগল প্রেমিক তা উপেক্ষা করতে শুরু করে। এরপর প্রথম স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ের তথ্য দিলে স্ত্রী প্রতিবাদ করতে থাকে।
এমতাবস্থায় পাগল প্রেমিক বলেছে তোমার মামার বাড়িতে গিয়ে থাকো, তোমার খরচের জন্য টাকা পাঠিয়ে দেবে। ভুক্তভোগী ওই নারী তার শ্বশুরবাড়ি ধনৌটি গ্রামে পৌঁছালে তাকে হুমকি দিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। নির্যাতিতা মহিলা পানাপুর থানায় নিজের অতীতের ঘটনা বর্ণনা করেন এবং একটি লিখিত অভিযোগ করেন, এরপর তার শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ওই নারী গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়ি থেকে বের হয়ে তার ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন। ওই নারী বলেন, আমার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার যেন পাওয়া যায়।
একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন।
এই অনুরোধ করে ৯ দিন ধরে বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছেন ওই মহিলা। একই সঙ্গে ছোট দুটি শিশুকে দেখে মনে হয় শিশুটি তার নিজের ঘরে থাকার জন্য অপেক্ষা করছে, কখন তালা খুলবে, কখন আমরা ঘরে যাব। যদিও পাড়ার লোকজন দুবেলা রুটির ব্যবস্থা করার কথা বলছে। কিন্তু নারীকে কেন ঘরের বাইরে থাকতে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কবে এই নারী বিচার পাবে? অন্যদিকে, স্যারফিরা আশিক দিল্লির একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন এবং সেখানকার একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন এবং তারপর বিয়ে করেন। আর প্রথম স্ত্রীকে রেখে বিচারের আর্জি জানাচ্ছেন স্ত্রী। তবে বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে।
No comments:
Post a Comment