হোমওয়ার্ক করে না আসায় নয় বছরের শিশুকে অর্ধনগ্ন করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের জলগাঁও শহরের। এক প্রাইভেট ক্লাসের শিক্ষিকা পল্লবী জিতেন্দ্র ইন্দানি শুক্রবার এই কাজ করেছেন। শিশুটির অভিভাবক জলগাঁওয়ের ওয়াঘনগরের মগারপার্কে বসবাসকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। শনিপেঠ এলাকার গুরুনানক নগরে বসবাসকারী যোগেশ গণেশ ধান্দোরের ছেলে খুশালকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে, বলে অভিযোগ।
খুশাল বলিরাম পেঠের কোঠারি নামে টিউশন ক্লাসে পড়তে যায়। এই টিউশন ক্লাসটি শাহ পরিবার চালায়। শাহ দম্পতি পরিচালিত এই টিউশন ক্লাসে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের টিউশন পড়ানো হয়। পল্লবী জিতেন্দ্র ইন্দ্রাণী এই টিউশন ক্লাসের শিক্ষিকা। খুশালের অভিভাবকের অভিযোগ, শুক্রবার খুশাল হোমওয়ার্ক না করায় ওই শিক্ষিকা তার শার্ট খুলে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
অভিভাবক জানান, বারবার মারধরে অতিষ্ট হয়ে খুশাল তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। ছেলের অভিযোগের কথা বিবেচনা করে হঠাৎ ক্লাসে পৌঁছালেই তার কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়। অভিভাবককে সামনে দেখে শিক্ষিকা তৎক্ষণাৎ শিশুটির জামাকাপড় ফিরিয়ে দেয় এবং খানিকটা বেসামাল হয়ে যান।
এরপর খুশালের বাবা যোগেশ ধান্দোর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় পুরো জলগাঁও শহরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কেউ শিক্ষিকাকে বলছেন বিকৃতমনষ্কা, তো কেউ বলছেন নিষ্ঠুর। বর্তমানে পুলিশ ওই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, এত ক্রুরতা তার মধ্যে কীভাবে এল, যে তিনি নয় বছরের খুশালকে এত নির্দয়ভাবে মারধর করলেন?
No comments:
Post a Comment