পশ্চিম বর্ধমান: তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য। রবিবার সকালে পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নদিয়া ধীবরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ি থেকে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্তও শুরু হয়েছে। নদিয়ার বাড়ি অন্ডাল থানার অন্তর্গত পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ছোরা গ্রামে। তিনি পেশায় আইনজীবী ছিলেন। এমন ঘটনায় শোকাহত নদিয়ার পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতেও নদিয়া খাওয়া-দাওয়া শেষে একটি নির্দিষ্ট ঘরে ঘুমাতে যান। সকালে উঠে তিনি তার অফিসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পরীক্ষা করেন। প্রায় সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির পরিচারিকা ঘর পরিষ্কার করতে বেসমেন্টে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখেন। তার কান্না শুনে ছুটে আসেন পরিবার ও প্রতিবেশীরা। বনবাহাল ফাঁড়ি পুলিশকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নদিয়া ধীবর আগে ছোরা পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হন এবং জেলা পরিষদের সদস্য হন। বর্তমানে তিনি পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির ফুড অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সম্প্রতি দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটল যা তাঁকে এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য করল? এ নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। একজন যোগ্য তৃণমূল নেতা মারা গেছেন। তিনি একজন ভালো নেতা ছিলেন। তিনি তৃণমূলের একজন দক্ষ সৈনিক ছিলেন। ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment