দুই দলিত কিশোরী বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে কটাক্ষ বিরোধীদের।
বুধবার উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার নিঘাসন থানার অন্তর্গত লালপুর মাজরা তামোলি পূর্বা গ্রামে একটি গাছে মৃতদেহগুলি ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ এ তথ্য দিয়েছে। দুই মেয়ের পরিবারের অভিযোগ, অপহরণ করে তাদের খুন করা হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের তিন যুবক এতে জড়িত।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ANI কে পুলিশ জানিয়েছে, লখিমপুর খেরিতে মাঠের মধ্যে একটি গাছ থেকে দুই দলিত কিশোরী বোনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। লক্ষ্ণৌ রেঞ্জের আইজি লক্ষ্মী সিং আরও বলেন, "মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। তাদের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা হবে। আমরা তদন্ত ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করব।" আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে গ্রামে এখনও বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধের জন্য যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আক্রমণ করেছেন এবং জোড়া মৃত্যুকে হাথরাস গণধর্ষণ ও খুনের সাথে তুলনা করেছেন।
অখিলেশ যাদব বলেন, "নিঘাসন থানা এলাকায় দুই দলিত বোনকে অপহরণ করার পর খুন করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের বাবাদের অভিযোগ খুবই গুরুতর যে তারা পরিবারের সম্মতি ছাড়াই 'পঞ্চনামা' ও ময়নাতদন্ত করেছে। লখিমপুর কৃষকদের পর, এখন দলিত খুনের ঘটনা 'হাথরাস কন্যা'র পুনরাবৃত্তি।"
অপরদিকে প্রিয়াঙ্কা বলেন, "লখিমপুরে দুই বোনের হত্যাকাণ্ড হৃদয়বিদারক। পরিবার বলছে, দিনের আলোয় মেয়েদের অপহরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সংবাদপত্র ও টিভিতে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয় না। উত্তরপ্রদেশে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ছে, সরকার কবে জেগে উঠবে?”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে হাথরাসে, ১৯-বছর-বয়সী এক দলিত যুবতীকে চারজন উচ্চবর্ণের পুরুষ ধর্ষণ করেছিল। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লীর সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নির্যাতিতার মৃতদেহকে তার বাড়ির কাছেই দাহ করা হয়েছিল এবং তার পরিবার অভিযোগ করেছিল যে স্থানীয় পুলিশ তাদের তাড়াহুড়ো করে তাঁর শেষকৃত্য করতে বাধ্য করেছিল। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা অবশ্য বলেছেন, পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী দাহ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment