আপনিও কি হাঁটার সময় এই ভুলগুলো করেন? শরীরের ক্ষতি হতে পারে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 5 September 2022

আপনিও কি হাঁটার সময় এই ভুলগুলো করেন? শরীরের ক্ষতি হতে পারে


দৌড়াদৌড়ির পরিবেশে, আজকাল মানুষ ফিট থাকার জন্য অনেক উপায় অবলম্বন করতে শুরু করেছে। অনেকে জিমে যোগ দেন, আবার অনেকে জগিং বা হাঁটাহাঁটি করে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করেন। আপনি যদি হাঁটা পছন্দ করেন, তাহলে অবশ্যই কিছু নিয়ম জেনে নিন। এটা না করলে আপনার শরীরের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে, যার খেসারত আপনাকেই বহন করতে হবে। 


কোনো টেনশন ছাড়াই হাঁটা শুরু করুন


হাঁটার প্রথম নিয়ম হলো কোনো ধরনের মানসিক চাপ নেওয়া উচিত নয়। হাঁটা শুরু করার সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন এবং আপনার মোবাইল ফোন এবং কানের ফোন বন্ধ রাখুন। আপনি একই গতিতে হাঁটতে পারেন এবং যাওয়ার সময় আসার সময় পরিকল্পনা করতে পারেন। 


হাঁটার সময় ঠিক করুন


ফিটনেসের ক্ষেত্রে, দিনে 45 মিনিট পর্যন্ত হাঁটা ভাল বলে মনে করা হয়। এই হাঁটা একবারে নয়, 2-3 কিস্তিতে করা উচিত। তবে আপনি আপনার শরীরের ক্ষমতা এবং সময়ের প্রাপ্যতা বিবেচনা করে হাঁটার জন্য উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করতে পারেন। এরপর নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হাঁটা শুরু করুন। আপনার ফিটনেস কয়েক দিনের মধ্যে দৃশ্যমান হবে। 


খেলাধুলার জুতো পরে হাঁটুন


আপনি যখনই হাঁটা শুরু করবেন, খালি পায়ে বা চপ্পল পরে থাকবেন না। বরং ভালো মানের স্পোর্টস জুতা পরে হাঁটুন। আসলে, চপ্পল বা স্যান্ডেল পরে হাঁটলে আপনার হিল ছিটকে যেতে পারে বা পায়ের আঙুলে ব্যথা হতে পারে। যেখানে স্পোর্টস জুতায় স্পঞ্জ খুব ভালো, যা আপনাকে এই উভয় সমস্যা থেকে বাঁচায়। তাই জুতা পরে হাঁটা বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করা হয়। 


পায়ের পাশাপাশি উভয় হাতও নাড়াতে হবে


হাঁটার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল আপনি দুই হাত পা বরাবর নাড়িয়ে হাঁটবেন। এটি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি আপনার স্ট্যামিনা বাড়ায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত বাঁধা অবস্থায় কখনোই হাঁটা উচিত নয়। এতে করে কাঁধ ও জয়েন্টের ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়। 


হাঁটার সময় কোমর সোজা রাখুন


আপনি যদি ফিটনেস ফ্রিক হন তবে হাঁটার সময় আপনার পিঠ সোজা রাখুন। তা করতে না পারলে কোমর ব্যথার সমস্যা বাড়ে। কোমর সোজা রাখলে সুষুম্না মজবুত হয় এবং ফুসফুসেও অক্সিজেন সঠিক পরিমাণে পৌঁছায়। ভুল ভঙ্গিতে হাঁটার ফলে সেই হাঁটা সুস্থতার বদলে অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad