মানুষের জীবনে যত সময়ই আসুক না কেন, তা কেটে যায়। খারাপ হোক বা ভালো, দুটোই পরিবর্তনশীল। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে আমাদের কিছু ভুলের কারণে প্রতিনিয়ত খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর জন্য ঘর বা অফিসের ঘড়ির দিকও অনেকাংশে দায়ী হতে পারে।
আমাদের জীবনে সময়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সময় অনুযায়ী সবকিছু চলছে। গ্রহ নক্ষত্রের গমনের কারণে প্রতিটি মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ সময় আসে, তবে বাস্তুর কিছু নিয়ম মাথায় রাখলে খারাপ সময় এড়ানো যায়। বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে আমাদের বাড়িতে বা অফিসের ঘড়ি যদি সঠিক দিকে না থাকে, তবে এটি ব্যক্তির জন্য খারাপ সময়ও ডেকে আনতে পারে। তাই বাস্তুশাস্ত্রে ঘড়ি রাখার সঠিক দিক বলা হয়েছে। কৃষ্ণ কান্ত শর্মা, ইন্দোরে বসবাসকারী একজন জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা, বাড়ি এবং অফিসে ঘড়ি রাখার সঠিক দিক সম্পর্কে আমাদের বলছেন।
বাস্তুতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে বা অফিসে ঘড়ি সবসময় উত্তর-পূর্ব দিকে রাখাই উত্তম। বাস্তুশাস্ত্রে, এই দিকটিকে ইতিবাচক শক্তিতে পূর্ণ বলে মনে করা হয়। আপনি যদি ঘড়ির কাঁটা এই দিকে রাখেন তবে আপনি আপনার জীবনে ক্রমাগত উন্নতি পাবেন। সেই সঙ্গে বাসা ও অফিসের মানুষের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা তৈরি হবে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ি বা অফিসে ঘড়ি কখনই দক্ষিণ দিকে রাখা উচিত নয়। এই দিকটি বাস্তুতে ঘড়ি রাখার জন্য শুভ বলে মনে করা হয় না। এই দিকটিকে বাস্তু এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে যমের দিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বাস্তুশাস্ত্রেও বলা আছে যে ঘড়ি কখনই বাড়ির প্রধান দরজার উপরে রাখা উচিত নয়। এতে বাড়ি ও অফিসে নেতিবাচকতা বাড়ে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে বাসা-বাড়ি ও অফিসে কর্মরত মানুষদের ওপর।
বাস্তুশাস্ত্রে, বাড়িতে কোনও ত্রুটিপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস রাখা নিষিদ্ধ। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এর ফলে ঘরে নেতিবাচকতা বাড়ে এবং বাস্তু দোষের বিকাশ ঘটে। এর পাশাপাশি ঘরে আর্থিক সমস্যাও আসে।
ঘরে ঘড়ি রাখার সময় ঘড়ির রঙের দিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। বাস্তুতে বিশ্বাস করা হয় যে লাল, কালো বা নীল রঙের ঘড়ি কখনই বাড়িতে বা অফিসে বসানো উচিত নয়। বাড়িতে বা অফিসে সবসময় হলুদ, সবুজ, হালকা বাদামী রঙের ঘড়ি রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment