রাজ্যের অনেক জেলায় ডেঙ্গুর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি সহ বেশ কয়েকটি জেলায় গত কয়েকদিনে ডেঙ্গুর ঘটনা তীব্রভাবে বেড়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
গত এক সপ্তাহে, রাজ্য জুড়ে ৪২২৪ টি নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের রিপোর্ট করা হয়েছে, এর মধ্যে হাওড়াতেই ৫১৬ নতুন আক্রান্ত রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্য সরকার নানা পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ষএকটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায়ও উঠেছিল ডেঙ্গুর প্রসঙ্গ।
শিলিগুড়িতে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল পাঠানোর দাবী জানিয়েছেন। শঙ্কর ঘোষের জবাব মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা দিয়েছেন। চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, আগামীকাল বা পরশু উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল যাবে।
শঙ্করের প্রশ্নে সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, 'ভারতের আর কোথাও ডেঙ্গু হচ্ছে না?' ফিরহাদ বলেন যে, ডেন-৩ নিয়ে অবশ্যই একটি উদ্বেগ রয়েছে। এমনকি সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত শহরেও এবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজারে পৌঁছেছে। ডেঙ্গুর নতুন উপসর্গ হল DEN 3। এর মেডিক্যাল প্রোটোকল কেন্দ্রীয় সরকার ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে যেভাবে দেয় সেভাবে দেয়নি। এ বিষয়ে কোনও প্রটোকল প্রস্তুত করা হয়নি।'
ফিরহাদ বলেন, 'জনগণের সচেতনতা ছাড়া এটি প্রতিরোধ করা কঠিন। সরকার সচেতনতা ছড়াতে পারে, সচেতন মানুষকে হতে হবে। বাড়ির আশেপাশে কোথায় জল জমে আছে তা দেখতে হবে। আমরা ১০০% থামাতে পারছি না কারণ মানুষ সচেতন নয়।'
চন্দ্রিমা বলেন, 'প্রতি তিন বছর অন্তর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, এই বছর ২০২২ তৃতীয় বছর, এটা স্বাভাবিক যে আক্রান্ত বাড়বে। পাশাপাশি, ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিডের কারণে পরিবেশ ভিন্ন ছিল, তাই এই দুই বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত কম ছিল। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পূর্ণ নজরদারি রাখছে।'
No comments:
Post a Comment