নবরাত্রির তৃতীয় দিনে মা দুর্গার তৃতীয়া রূপ মা চন্দ্রঘন্টা'র পূজা করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ মা চন্দ্রঘন্টার পূজার দিন। চন্দ্রঘন্টা দেবীর কৃপায় সাধক নির্ভীক ও পরাক্রমশালী হওয়ার শক্তি পায়। আসুন জেনে নিই মা চন্দ্রঘন্টার প্রিয় রং, ভোগ, মহত্ত্ব ও কাহিনী।
মা চন্দ্রঘন্টা পূজার মহত্ত্ব
যাদের কুণ্ডলীতে মঙ্গল দুর্বল, তাদের মা চন্দ্রঘন্টার পূজা করা উচিৎ। এতে মঙ্গলের ক্ষতিকর প্রভাব শেষ হবে। দেবীর এই রূপের আরাধনা করলে সাধকের সমস্ত পাপ নাশ হয়। মায়ের কৃপায় অশুভ শক্তি তাকে কখনও বিরক্ত করেনা। সাহসের সাথে ভদ্রতা এবং নম্রতা আসে।
মা চন্দ্রঘন্টা নাম কীভাবে
মা চন্দ্রঘন্টার রূপ অতিপ্রাকৃত। সিংহের ওপর অধিষ্ঠিত দেবী চন্দ্রঘন্টার দশটি অস্ত্র, যার মধ্যে ত্রিশূল, তলোয়ার, ধনুক, গদা ইত্যাদি রয়েছে এবং তাঁর মুদ্রা যুদ্ধের। ঘন্টা আকৃতির অর্ধচন্দ্র দেবীর কপালে স্থাপিত, তাই তিনি চন্দ্রঘন্টা নামে পরিচিত। রাক্ষস ও অসুরকে বধ করার জন্যই মায়ের অবতরণ।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, অসুরদের অধিপতি মহিষাসুর ইন্দ্রলোক ও স্বর্গলোকে তাঁর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য দেবতাদের আক্রমণ করেছিলেন। বহু দিন ধরে দেবতাদের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধে নিজেকে পরাজিত দেখে সমস্ত দেবতা ত্রিমূর্তি অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের কাছে পৌঁছে যান। মা চন্দ্রঘন্টা তিনজনেরই ক্রোধ থেকে জন্ম নেন। অসুরদের বধ করার জন্য মা চন্দ্রঘন্টাকে শিব ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণু চক্র, ইন্দ্রদেব ঘণ্টা, সূর্য তলোয়ার দিয়েছিলেন।
মা চন্দ্রঘন্টার প্রিয় রং
মা চন্দ্রঘন্টা কমলা রঙ খুব পছন্দ করেন। কথিত আছে, কমলা রঙের পোশাক পরিধান করে দেবীর আরাধনা করলে শরীরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়। ভয় থেকে মুক্তি মেলে
মা চন্দ্রঘন্টার ভোগ
ক্ষীর, রাবড়ির মতো দুধ থেকে তৈরি মিষ্টি দেবীকে নিবেদন করুন। এতে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। সাধক আত্মিক শান্তি পায়।
মা চন্দ্রঘন্টা প্রিয় ফুল
চন্দ্রঘন্টা দেবীর পূজায় শঙ্খপুষ্পী ফুল নিবেদন করুন।
No comments:
Post a Comment