গার্লফ্রেন্ডকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে টয়লেটে ফেলে দিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তিকে ৭০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালাত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোতে। ব্যক্তির নাম এরিক ফ্রান্সিসকো রোব্লেডো, বয়স ৪৬ বছর। ২৫ বছর বয়সী ইনগ্রিড এসকামিলাকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বাড়িতে খুন করেছিল রোবলেডো। আদালতে এই মামলার শুনানি হয়েছে ২৬ বার। উল্লেখ্য, এটি মেক্সিকোতে একজন অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গার্লফ্রেন্ডকে খুনের পর তার চামড়া খুলে নেয় রোব্লেডো। এরপর টয়লেটের ফ্লাশে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও অন্ত্র ফ্লাশ করে দেয়। সে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোব্লেডোকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন।
সেই রাতের ফুটেজে রোব্লেডোকে একটি গাড়িতে দেখা গেছে যে তার মাথায় হেডব্যান্ড এবং বুকে রক্ত রয়েছে। তারপরে তাকে বলতে শোনা যায় যে, তার ইনগ্রিডের সাথে বচসা এবং তাকে মারধর করতে শুরু করে। রোবাল্ডো বলেন, 'সে বলেছিল সে আমাকে মেরে ফেলতে চায়, আর আমি বলেছিলাম করে দেখাও। তিনি একটি ছুরি নিয়েছিলেন আমাকে দু'বার মারার চেষ্টা করেছিল।'
তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে কেন তিনি তার শরীর টুকরো টুকরো করলেন? উত্তরে রোব্লেডো বলে, 'আমি চাইনি কেউ জানুক।' সে আরও বলে, 'যে ছুরি দিয়ে তিনি আমার গলায় মেরেছিলেন, আমি সেই ছুরিটিই ব্যবহার করেছি। আমি তার শরীরের টুকরোগুলো ড্রেনেজ সিস্টেমে ফেলে দিয়েছিলাম, কারণ আমার লজ্জা করছিল।'
No comments:
Post a Comment