ইতিহাসে এমন কিছু ঘটনা লুকিয়ে রয়েছে যা খুবেই অবাক করা এবং যা সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি। কিন্তু সেই ঘটনা জানবার পর তা আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। তেমনই এক ইতিহাস হল মুঘল শাসনামল। এই সময় কিছু শাসকের আমলকে যেমন স্বর্ণ যুগ বলা হয় তেমনই কিছু শাসকের আমলকে অন্ধকার ও স্বৈরাচারীর যুগও বলা হয়ে থাকে।
মুঘল আমলে মুঘল সম্রাট দারা শিকোহর নাম ইতিহাসের পাতায় রয়ে গেছে। তাঁকে ঘিরে সংঘটিত বেদনা দায়ক ইতিহাস সম্পর্কে আসুন জেনে নেওয়া যাক -
দারা শিকোহ হলেন শাহজাহানের ছেলে,আওরঙ্গজেবের দাদা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহজাহানের ছেলে এবং আওরঙ্গজেবের বড়ো ভাই তাঁর দাদা দারা শিকোহের শিরশ্ছেদ করেছিলেন শুধু মাত্র সিংহাসন অধিকারের লোভে।
প্রকৃতপক্ষে, শাহজাহান অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তার উত্তরাধিকারের জন্য লড়াই শুরু হয়। এই যুদ্ধে ভাই ভাইয়ে যুদ্ধ হয়, শেষ পর্যন্ত আওরঙ্গজেব জয়ী হন। এর পর দারা শিকোহকে যুদ্ধক্ষেত্র ক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে যান। বলা হয় যে আগ্রা থেকে পালানোর পর দারা প্রথমে দিল্লি এবং তারপর পাঞ্জাব এবং তারপর আফগানিস্তানে যান।
আওরঙ্গজেব তাঁকে অনুসরণ করে ধরে ফেলেন। এর পর আওরঙ্গজেব তাঁকে বন্দী করে প্রাসাদে ডেকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। নাজার বেগকে এই কাজ দিলে, তিনি দারা শিকোহের গলা শরীর থেকে আলাদা করে, দারার ছিন্ন মস্তকটি আওরঙ্গজেবের কাছে পেশ করা হয়। শুধু তাই নয়, এরপর এই মস্তকটি দিল্লিতে ঘোরানোর পর এই মাথাটি শাহজাহানের কাছেও পাঠানো হয়।
'দারা শিকোহ দ্য ম্যান হু হুড বি কিং' বইটির উপর ভিত্তি করে বিবিসির প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে তিনি একজন চিন্তাবিদ, কবি, ধর্মতত্ত্ববিদ ছিলেন। শাহজাহান দারা শিকোহকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তাকে যুদ্ধে অংশও নিতে দেয়নি কোনো দিন।
No comments:
Post a Comment