তিন দিন ধরে ভু সমাধিতে নিমগ্ন স্বামী পুরুষোত্তমান্দ মহারাজ সোমবার সকালে তাঁর সমাধি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। প্রায় ৭২ ঘন্টা সমাধির পর বাবা যখন বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁর বিপুল সংখ্যক ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ভক্তরা ফুল বর্ষণ করেন তার উপর।
পুরুষোত্তমন্দ মহারাজ বাবার এই সমাধি বিতর্কে ঘেরা ছিল। প্রশাসন তাকে সমাধি করতে দেয়নি, তবুও তিনি সমাধি গ্রহণ করেন। এটি তেজবাজের রাজধানী ভোপালের পুরো বিষয়টি। ভোপালের টিটি নগর সিএসপি বলেছেন যে আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
ভোপালের মাতা মন্দিরের কাছে অবস্থিত মা ভদ্রকালী বিজয়সন দরবারে শুক্রবার সকাল ১০টায় পুরুষোত্তমান্দ মহারাজ সাত ফুট গভীর গর্তে ধ্যান করেছিলেন, তারপরে তিনি সোমবার সকাল ১০টায় বেরিয়ে আসেন। তাঁর ভক্তরা তাঁকে সমাধি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবা বললেন, আমার তপস্যা সম্পূর্ণ হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাবার সেবক বলেন, মানুষের কল্যাণ কামনায় বাবাজি সমাধি গ্রহণ করেছিলেন। একই সময়ে, বাবার শিষ্যরা দাবি করেছেন যে মহারাজ এর আগে মহেশ্বরে ২৪ ঘন্টা জল সমাধিও নিয়েছেন। এছাড়া তিনি অগ্নিস্নানও করেছেন। কিন্তু এবার তাঁর সমাধির সময় ছিল ৭২ ঘণ্টা।
বাবা সমাধি থেকে বেরিয়ে এসে বলেছিলেন যে ‘আমার শরীর তপস্যায় লীন হয়েছিল এবং আমার আত্মা ঈশ্বরের কাছে ছিল। মা আমাকে রথে চড়ে স্বর্গ দেখতে নিয়ে গেলেন। মা আমাকে শিবলোক, বিষ্ণুলোক ও ব্রহ্মা লোকের দর্শন দিয়েছেন।
টিটি নগরে অবস্থিত মাতা মন্দিরের কাছে মন্দিরে সমাধির জন্য ৭ ফুট গভীর, ৪ ফুট চওড়া, ছয় ফুট লম্বা একটি গর্ত খনন করা হয়েছে। সমাধি গ্রহণের আগে বাবা একটি গাধাকে গর্তের ভিতর শুইয়ে দেন এবং কিছুক্ষণ পর প্রার্থনা করতে করতে সমাধিতে লীন হন। ভক্তরা কাঠের স্ল্যাব দিয়ে গর্তটি বন্ধ করে দেয়। এরপর সোমবার সকাল ১০টায় ৭২ ঘণ্টা পর সেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসেন পুরুষোত্তমন্দ মহারাজ বাবা।
অনুমতি ছাড়া সমাধি নেওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকার এসিপি চন্দ্রশেখর পান্ডে জানান, বাবাকে সমাধির কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment