দেশে ধর্মীয় ভারসাম্যহীনতার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, মুসলমানদের জনসংখ্যা বাড়ছে না, কমছে। আসলে বিজয়াদশমী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত তাঁর বক্তৃতায় জনসংখ্যার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।
এক জনসভায় ওয়াইসি বলেন, 'মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়ছে না। নিজেকে অহেতুক টেনশনে ফেলবেন না, এটা বাড়ছে না। আমাদের জনসংখ্যা কমছে। মুসলিমদের টিএফআর কমে যাচ্ছে।' তিনি বলেন, 'মুসলমানরা দুই সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য তৈরি করছে।' তিনি জিজ্ঞেস করেন, 'কন্ডোম কে বেশি ব্যবহার করেন? আমরা ব্যবহার করছি মোহন ভাগবত এ বিষয়ে কথা বলবেন না।'
ভাগবত বক্তৃতার সময় জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেন, '৭৫ বছর আগে আমরা এটা অনুভব করেছি এবং একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে যে তিনটি সদ্য স্বাধীন দেশ, পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদান এবং কসোভা অস্তিত্ব লাভ করেছে, সেগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, সুদান এবং সার্বিয়ার একটি অংশ। জনসংখ্যার অবনতি এটাই ফল।'
তিনি বলেন, “যখনই কোনও দেশে জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, তখন সে দেশের ভৌগোলিক সীমানাও বদলে যায়। জন্মহারে বৈষম্যের পাশাপাশি দেশে লোভ-লালসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ও অনুপ্রবেশও বড় কারণ।" সংঘ প্রধান বলেছিলেন যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, ধর্মীয় ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা উপেক্ষা করা যায় না।
ভাষাগত দিক থেকে, সংঘ প্রধান বলেছিলেন যে নতুন জনসংখ্যা নীতি ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা উচিৎ। তিনি বলেন, এদেশে সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
No comments:
Post a Comment