কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত তরল এবং অপ্রয়োজনীয় পদার্থ মূত্রনালী থেকে বেরিয়ে যায়। কোনো কারণে কিডনি নষ্ট হলে ক্ষতিকর উপাদানগুলো শরীর থেকে বের হয়ে আসতে না পেরে ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষকে ধীর মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এমতাবস্থায় কিডনি পরিচর্যার ব্যাপারে আপনার আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।
কম জল পান করা ক্ষতিকর
আপনার কিডনি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য, সারা দিন 5-7 লিটার জল পান করা প্রয়োজন। আপনি যদি সারা দিন এর চেয়ে কম পান করেন, তাহলে আপনি সরাসরি আপনার কিডনিকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছেন। আসলে, জলের মাধ্যমেই কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং তরল দূর করতে কাজ করে।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলুন
মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ক্ষতি নেই। কিন্তু চিনি বেশি থাকে এমন মিষ্টি খাবার খেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলেও আপনি ডায়াবেটিসের শিকার হতে পারেন। তাই বেশি মিষ্টি জিনিস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
ঘুমের অভাবে শরীরের ক্ষতি হয়
শরীরের ফিটনেসের জন্য প্রতিদিন 7-8 ঘন্টা ভাল ঘুম পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে বিশ্রাম দেয়। এর চেয়ে কম ঘুমালে আপনার কিডনিসহ সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করবে। যার কারণে আপনি রোগের শিকার হতে পারেন।
ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার
মাঝে মাঝে অসুস্থ হলে ব্যথানাশক বা অন্যান্য ওষুধ সেবনে কোনো সমস্যা নেই। যাইহোক, আপনি যদি নিয়মিত ওষুধ খেতে থাকেন তবে তা করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। আসলে, ওষুধের মধ্যে একটি শক্তিশালী লবণ থাকে, যা পরিষ্কার করতে কিডনিকে প্রচুর শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। আপনি যদি অনেক বেশি ওষুধ খান তবে আপনার কিডনি তাদের লবণ পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হতে পারে। যা আপনার জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে।
খাবারে অত্যধিক লবণ খাওয়া
খাবারের স্বাদ বাড়াতে এবং গলগন্ড নামক রোগ থেকে বাঁচতে লবণ খাওয়া প্রয়োজন। তবে এটি সীমিত পরিমাণে হওয়া উচিত। মিষ্টি জিনিসের মতো টক জাতীয় জিনিস বেশি পরিমাণে খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে সময় লাগে না। এটি করলে সরাসরি আপনার কিডনির ক্ষতি হয়। তাই বেশি নোনতা জিনিস থেকে কিছুটা দূরত্ব রাখার চেষ্টা করুন।
No comments:
Post a Comment