বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে কারচুপিসহ অনেক অভিযোগে ডাঃ বিশ্বজিৎ ভাদুড়ীসহ আরও অনেকে মামলা করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জন সেনগুপ্তের বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্ট ফলাফল ঘোষণায় স্থগিতাদেশ না দিলেও, আদালতের এই নির্দেশের ওপরই আগামী দিনে ফলাফলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডাক্তারদের যৌথ প্ল্যাটফর্ম, মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার এবং সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম ইতিমধ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনী গণনা প্রক্রিয়া থেকে প্রত্যাহার করে এবং আদালতের তত্ত্বাবধানে অনলাইন ভোটিং দাবী করেছিল।
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের কোষাধ্যক্ষ ডাঃ স্বপন বিশ্বাস জানান, তার সংগঠন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এ বিষয়ে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে। ভোটার তালিকায় কারচুপি ও জাল ব্যালট পেপার ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ গণনার আগে বিরোধী চিকিৎসা সংগঠনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের দাবী, বিরোধী প্যানেল মিথ্যে অভিযোগ করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার হাইকোর্ট এ বিষয়ে ধারাবাহিক নির্দেশ দেন। আদালত বলেছে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই নির্বাচনের যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে নিয়মিত বেঞ্চে।
উল্লেখ্য, মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। জাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ডাঃ বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী এবং অন্যরা একই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আবেদনকারীরা এই নির্বাচন বাতিলের দাবী জানান। সেই মামলায় শুক্রবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আজ কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে কোনও বাধা নেই। আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি, তবে কোনও নির্বাচনী নথি নষ্ট করা যাবে না। নির্বাচনের সব কাগজপত্র নিরাপদ রাখতে হবে। আগামী দিনে আদালতের নির্দেশের ওপর নির্ভর করবে ফলাফল। হাইকোর্ট আরও জানায়, পূজার ছুটির পর আদালত খুললে বিষয়টি বিশেষ বেঞ্চে শুনানি হবে।
No comments:
Post a Comment