ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত ৫। এর মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার সকালে নদীয়ার। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে একটি গাড়ি রায়গঞ্জ থেকে কলকাতার দিকে আসছিল। নাকাশিপাড়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের টোল প্লাজার কাছে সামনে থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়। মৃতদেহগুলি ইতিমধ্যেই গ্রামীণ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে। যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই জাতীয় সড়কে কাজ চলছিল। কাজ বন্ধ থাকায় 'সিঙ্গেল লেনে' যানবাহন চলছিল এবং এই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি বেথুয়াধরির দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় বহরমপুরগামী একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক শিশু সহ ৫ যাত্রীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। টোলের আগে রাস্তাটি সিঙ্গেল লেন হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এমন দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় কেন ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি নেই তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার দাবীও জানান তারা। ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী দলকে খবর দেওয়া হয়। বিধ্বস্ত গাড়িটি বের করা হয়েছে।
লরি ও মারুতি ওমনি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল পাঁচজনের। রাস্তার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দাবী। প্রতিনিয়ত এখানে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ দুর্ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং তারা জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ক্রেনকে খবর দিলে দেড় ঘণ্টা পর ক্রেন আসে, যদিও ক্রেনটি এসিডব্লিউ। ক্রেনটি দেরিতে আসায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন।তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণ এখানে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করার দাবী জানিয়েছেন এবং দ্রুত রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
No comments:
Post a Comment