বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তকারী সিবিআই মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে। এই চার্জশিটে ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBCSSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ ১২ জনের নাম রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, এই চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থা একজন প্রাক্তন উপদেষ্টা, কমিশনের প্রাক্তন সহকারী সচিব, দুই প্রোগ্রাম অফিসার এবং আরও ছয়জনের নাম চার্জশিটে দিয়েছে। বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে হাজার হাজার প্রার্থীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে অভিযুক্তরা এবং এর পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে বলেও অভিযোগ।
সিবিআই তদন্তে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রাজ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেণিতে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য নিয়োগ অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করে- কীভাবে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা যায়। অভিযুক্তদের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবী ও বেসরকারি ব্যক্তিও রয়েছে। অভিযোগপত্রে নাম থাকা ১২ জনের মধ্যে ছয়জন বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। যার মধ্যে কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, প্রাক্তন উপদেষ্টা, তৎকালীন সহকারী সচিব, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং দুজন বেসরকারি ব্যক্তি রয়েছেন।
সিবিআই আধিকারিক বলেন, "আরও তদন্ত চলছে এবং প্রতিটি অভিযুক্তের ভূমিকা খুঁজে বের করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি এটিতে কোনও বড় ষড়যন্ত্র ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেও তদন্তকারী সংস্থা এই মামলাটি হাতে নিয়েছে। যে চার্জশিটে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যেটিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মানি লন্ডারিং মামলার অধীনে তদন্ত করছে।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মামলার ফাঁদে পড়া মানিক ভট্টাচার্য টাকা নিয়ে চাকরি দিতেন। এর আগেও এই অভিযোগ উঠেছিল। এর পাশাপাশি একাধিক প্রার্থী তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। মানিক ভট্টাচার্যই টাকা নিয়ে চাকরি দিতেন, অভিযোগ গিয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার পরও তিনি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। দুজনেই ফোনে একটানা কথা বলতেন। ইডির দাবী, এমন পরিস্থিতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সব জানতেন। ইডি এই অভিযোগের প্রমাণও পেয়েছে।
No comments:
Post a Comment