প্রায় ৫৬ কেজি রুপোর অলঙ্কার ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। রবিবার পাড়ি দেবে মণ্ডপে। প্রায় তিন মাস ধরে হাবড়ার বাণীপুর এলাকার বাসিন্দা, শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার তৈরি করছেন রুপোর গয়নার আবরণে সুসজ্জিত এই কালী প্রতিমা।
শিল্পী জানান, ৫৫ থেকে ৫৬ কেজি রুপো ব্যবহার করা হয়েছে প্রতিমায়। সিসিটিভি মোড়া ওয়ার্কশপে প্রতিমার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে জোরকদমে। এত পরিমাণ রুপোর গয়না ব্যবহার করার কারণে স্থানীয় প্রশাসনকেও বিষয়টি জানিয়ে রেখেছেন শিল্পী। পাশাপাশি যে রাস্তা ধরে হাবড়া থেকে প্রতিমা ব্যারাকপুরে পৌঁছাবে, সেই থানাগুলিতেও পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।
রবিবারই প্রতিমা পাড়ি দেবে ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরের নয়া বস্তি মহাবীর সমিতিতে যাবে এই প্রতিমা। প্রায় ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের শিল্পকলা নিয়ে কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার। তবে তিনি কখনও আর্ট কলেজে পড়েননি বা কারও কাছে শিল্পকলা শেখেননি। সম্পূর্ণ নিজের আগ্রহ ও মানসিক শক্তিতে ভর করেই শিল্পকলার কাজ করে চলেছেন।
কখনও সামুদ্রিক উপকরণ দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেছেন, কখনও গাছের ছাল-ফলের বীজ, আবার কখনও শ্বেত পাথর দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেছেন। কখনও বা প্রতিমায় ব্যবহার করেছেন কোটি কোটি টাকার মুক্তো বা হীরে। আর এবারে, বিপুল পরিমাণ রুপোর গয়না ব্যবহার করে প্রতিমা তৈরি করেছেন, যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলেই মনে করছেন তিনি।
প্রতিমার মধ্যেও থাকছে বিশেষত্ব। করোনা পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলে শান্তির বার্তা নিয়ে আসছে প্রতিমা। দশ ফুট উচ্চতার প্রতিমার মধ্যে এই দৃশ্য ফুটে উঠবে, বলে জানান শিল্পী।
No comments:
Post a Comment