জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ারে একটি মেগা পাওয়ার প্রজেক্ট সাইটে পর পর দুটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক জেসিবি চালক ও এক পুলিশ কর্মী সহ অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। কিশতওয়ারের এসএসপি শাফকাত ভাট জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে জেসিবি চালক মনোজ কুমারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন ইঞ্জিনিয়ার শচীন এবং একজন পুলিশ কর্মী ইয়াকুবের মৃতদেহও ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে রবি রায় নামে আরেক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এসএসপি ভাট বলেন যে, এই ঘটনায় ১৫ জন সামান্য আহত হয়েছেন এবং সার্চ অপারেশন চলছে। প্রকল্পস্থলে একের পর এক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম ভূমিধসে জেসিবি চালক সহ তিনজন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। এর পরে একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়, যেখানে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন উদ্ধারকারী ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন। আটকে পড়াদের উদ্ধার ও উদ্ধার কার্যে সব ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ট্যুইটারে এই ঘটনার তথ্য শেয়ার করেছেন এবং তিনি বলেন, "নির্মাণাধীন রটল পাওয়ার প্রকল্পের সাইটে একটি মারাত্মক ভূমিধসের রিপোর্ট সামনে এসেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ারের ডিসি তাকে এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এক জেসিবি চালকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর মোতায়েন করা ছয় উদ্ধারকর্মীও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ট্যুইট করেন, “আটকে পড়াদের উদ্ধার ও উদ্ধারের জন্য সব ধরণের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সহায়তা দেওয়া হবে। আমি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।” লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কার্যালয় থেকে ট্যুইট করেও এই ঘটনার তথ্য জানানো হয়েছে।
এলজি অফিস থেকে করা ট্যুইটে বলা হয়েছে, "দ্রাবশালা-রাটল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত। যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সেনা, এসডিআরএফ ও পুলিশ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
No comments:
Post a Comment