'সিপিএম-বিজেপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে', এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য়। দীপাবলির দিন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের এই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'-তে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই বৈঠককে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তাতে আরও লেখা রয়েছে, “সৌজন্য সাক্ষাৎকারের আড়ালে বাংলা দখলের চক্রান্তে শামিল বিজেপি-সিপিএম”।
এর উত্তরে অবশ্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "আমি ধাক্কাধাক্কির রাজনীতি করি না।" বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও তৃণমূলের দাবী উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে তৃণমূল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কালী পুজোর পরেই তারা আন্দোলন শুরু করছে।
২৫ অক্টোবর জাগো বাংলা প্রথম পাতায় 'সরকার ফলে দেব সঙ্গে থাকুন' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, 'বিজেপি এবং সিপিএম বাংলা দখলের জন্য শিলিগুড়িতে গোপন বৈঠক করছে। এই বৈঠকে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ডিসেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতনের জন্য সমস্ত ব্লু প্রিন্ট প্রস্তুত করেছে বিজেপি।"
বরিষ্ঠ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “একজন সাংসদ দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে আমার বাড়িতে এসেছিলেন। আমার কি করা উচিৎ? তার সঙ্গে আরও তিন-চারজন লোক এসেছিল। রাজনৈতিক কিছুই হয়নি। কিছুই ঘটেনি। আমি এই ধরনের লেখার তীব্র বিরোধিতা করছি। যে কোনও নির্বাচিত এমপি আসতে পারেন। আমার স্ত্রী মারা গেলে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষও এসেছিলেন। এই ধরনের রাজনীতি আর কেউ করতে পারেন, আমি করি না।"
তৃণমূলের মুখপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি এটা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আসলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির স্তর এতটাই নিচে নেমে গেছে যে, এ রকম কিছু বলা যায়। আমি ও আমাদের সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা করছি, বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতে যাচ্ছেন। অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও গিয়েছিলাম। একই সঙ্গে অশোক দা-র স্ত্রী রত্না দি-র ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি অনুষ্ঠান ছিল। তিনি আরও জানান, আমাদের সাংসদরাও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।”
No comments:
Post a Comment