আমাদের দেশে বহু শতাব্দী ধরে রাতে দুধ পানের প্রথা চলে আসছে। শীতের মৌসুম হলে মা দুধে হলুদ মাখিয়ে দেন, মাঝে মাঝে দুধের সাথে গুড় খাওয়ান যাতে শরীর ভিতর থেকে শক্ত হয়। কাশি, সর্দির সমস্যা থাকলে মা তুলসী পাতা দুধে সিদ্ধ করে খাওয়ান, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। আজ পর্যন্ত আপনি নিশ্চয়ই অনেক কিছু দুধের সাথে মিশিয়ে পান করেছেন। তবে জেনে নিন দুধের সাথে গুড় ও তুলসী মিশিয়ে পান করার উপকারিতা সম্পর্কে ।
দুধের সাথে গুড় ও তুলসী মিশিয়ে পান করলে শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই মজবুত হয় না, এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতেও কাজ করে। তাহলে চলুন আজ জেনে নিই রাতে গুড় ও তুলসী মিশিয়ে দুধ পানের উপকারিতা সম্পর্কে।
তুলসী, গুড় ও দুধের উপকারিতা। তুলসী গুড় এবং দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা
মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয়
তুলসী পাতায় ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রন পাওয়া যায়। তুলসী পাতা দুধ ও গুড় দিয়ে সিদ্ধ করলে ক্যালসিয়াম ছাড়াও এতে অনেক পুষ্টি উপাদান আসে যা মাথাব্যথা উপশমে সহায়ক। রাতে ঘুমানোর আগে তুলসী, দুধ ও গুড় খেলে মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর
রাতে তুলসী, গুড় ও দুধ পান করা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। গুড় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ। সেই সঙ্গে তুলসী ভিটামিন সি, ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস, এই সব জিনিসই হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শ্বাসযন্ত্রের রোগ
যাদের শাশুড়ির কোনো রোগ আছে, তাদেরও এই দুধ খাওয়া উচিত। এটি পান করলে অনেক আরাম পাবেন।
মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতা
মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে, রাতে ঘুমানোর আগে তুলসী, গুড় এবং দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তুলসী, গুড় এবং দুধের পুষ্টিগুণ মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।
ঠান্ডার সমস্যা মিটে যাবে
কাশি বা সর্দি হলে তুলসী খেতে পারেন, তবে গরম দুধে তুলসী মিশিয়ে সেবন করলে শীঘ্রই আপনার সর্দি দূর হয়ে যাবে।
গুড় ও তুলসী দুধ কিভাবে বানাবেন?
এটি করতে, একটি সসপ্যানে ২ গ্লাস দুধ ফুটিয়ে নিন।
সেদ্ধ দুধে ২ থেকে ৪টি তুলসী পাতা যোগ করুন এবং রান্না করুন।
দুধ ও তুলসী ঠিকমত সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে গুড় বা গুড় দিয়ে মেশান।
এটি ১ মিনিটের জন্য রান্না করুন এবং একটি চালনির সাহায্যে এটি একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন।
দুধ সামান্য গরম হলেই সেবন করুন।
No comments:
Post a Comment