দশেরার মিছিল থেকে আচমকাই মাদ্রাসা পরিসরে ঢুকে, বলপূর্বক পুজো করার অভিযোগ উঠল একদল জনতার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বিদার জেলার একটি ঐতিহাসিক মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে। অভিযোগ, দশেরা উপলক্ষে বের করা মিছিল থেকে একদল লোক ঢুকে পড়ে মাদ্রাসা পরিসরে। এরপর এক কোণে কুমকুম, ফুল দিয়ে পূজাও করেন তারা। উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসা চত্বরের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যাতে মাদ্রাসার সিঁড়িতে কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তথ্যমতে, পুলিশ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে তাদের নাম হল নরেশ গৌলি, প্রকাশ মেকানিক, সঞ্জু টাইলার, অরুণ গৌলি, মুন্না, সাগর, জগদীশ, গণেশ গৌলি এবং গোর্কা গৌলি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিষয়টি নিয়ে বিদার টাউন থানায় একটি রিপোর্ট দায়ের করেছেন। এফআইআরে মাদ্রাসার নিরাপত্তা কর্মীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে, মুসলিম সংগঠনগুলি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং বলেছিল যে, কাউকে গ্রেফতার না করা হলে জুমার নামাজের পরে ব্যাপক বিক্ষোভ করা হবে। যে মাদ্রাসা চত্বরে উত্তেজিত জনতা প্রবেশ করেছিল সেটি বিদারের মাহমুদ গাওয়ান মাদ্রাসা নামে পরিচিত। ১৪৬০ সালে নির্মিত, এই মাদ্রাসাটি ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের অধীনে আসে এবং জাতীয় গুরুত্বের স্মৃতিস্তম্ভের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ভিড়কে দেবী, বন্দে মাতরম এবং হিন্দু ধর্মের জয় স্লোগান দিতে দেখা যায়। স্থানীয় পুলিশের কথায়, বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে তালা ভেঙে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে উত্তেজিত জনতা।
অল ইন্ডিয়ান মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ওয়াইসি ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করে লিখেছেন, “ছবিগুলি কর্ণাটকের বিদারের ঐতিহাসিক মাহমুদ গাওয়ান মসজিদ ও মাদ্রাসার ৫ অক্টোবরের। চরমপন্থীরা এর তালা ভেঙ্গে অপবিত্র করার চেষ্টা করে। বিদার পুলিশ এবং বাসভরাজ বোমাই আপনারা কীভাবে এটি হতে দেন? মুসলিমদের হেয় করার জন্য বিজেপি এই ধরনের কার্যকলাপ প্রচার করছে।"
No comments:
Post a Comment