গরবা অনুষ্ঠানে ৬০ জন বিদেশী অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানোয় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ, ডক্টর এসটি হাসান। পাশাপাশি গরবা প্যান্ডেলে মুসলিম যুবকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সপা সাংসদ এসটি হাসান বলেন, মুসলিম যুবকরা এমন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যায়ই বা কেন? তাদের এটা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এসটি হাসান তার বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য প্রায়ই শিরোনামে থাকেন। এবারও গরবা অনুষ্ঠানে ৬০ বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিলেন তিনি। তিনি বলেন, "গরবা অনুষ্ঠানে ৬০টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হয়েছে। সব রাষ্ট্রদূতই ভিন্ন ধর্মের। কেন আমরা আমাদের বোন-মেয়েদের তাদের সামনে নুমাইশ করছি? এ বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে।"
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশ সহ অনেক রাজ্যে মুসলিম যুবকদের গারবা প্যান্ডেলে প্রবেশ করা, তাদের পরিচয় গোপন করা এবং হিন্দু সংগঠনের কর্মীদের তাঁদের মারধর করার অভিযোগ এবং এটিকে জিহাদের নাম দেওয়ার বিষয়েও এসপি এমপি প্রশ্ন তুলেছেন। এসটি হাসান বলেছেন যে, 'এই ঘটনার পরে অন্য ধর্মের লোকদের এখন গরবা প্যান্ডেলের বাইরেও আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসপি সাংসদ মুসলিম যুবকদের কড়া বার্তা দিয়ে বলেন যে, "তারা কেন যায়? এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান তাদের এড়িয়ে চলা উচিৎ, ভুলবশত কিছু যুবক পৌঁছে গেলেও সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাদের মারার অধিকার কারও নেই। অনুমতি ছাড়া এ ধরনের অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ।"
এসপি এমপি মহারাষ্ট্র সরকারের সেই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছেন, যেখানে সরকারি দপ্তরে ফোন কল রিসিভ করলে হ্যালোর পরিবর্তে 'বন্দে মাতরম' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসটি হাসান বলেন, "এটি অনেক পুরনো বিরোধ। ইসলাম মুসলমানদের আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও উপাসনা করার অনুমতি দেয় না। ইসলাম বিশ্বাস করে যে, মুসলমানরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও উপাসনা করতে পারে না। এই বিতর্কিত ইস্যুতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছি। যারা ভালো মুসলমান, যে মুসলমানদের ইমান আছে, তারা কখনই জমিনের পূজা করে না, আমরা কেবল আল্লাহর ইবাদত করি।"
No comments:
Post a Comment