অজানা বিষের সংস্পর্শে এসে অসুস্থ প্রায় ৬০ জন শিশু। ঘটনা দক্ষিণ মেক্সিকোর চিয়াপা শহরের একটি গ্রামীণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, বিষাক্ত খাবার খেয়ে গত দুই সপ্তাহে চিয়াপা স্কুলে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার তৃতীয় ঘটনা এটি। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু আতঙ্কের পরিবেশই নয়, ঘন ঘন বিষক্রিয়ার ঘটনায় অভিভাবকরাও ক্ষোভে ফুঁসছেন। মেক্সিকো ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সিকিউরিটি অনুসারে, বোসিলের গ্রামীণ এলাকায় স্থিত কমিউনিটি স্কুলের কিশোর শিক্ষার্থীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সব ছাত্রেরই বিষক্রিয়ার উপসর্গ ছিল। অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর দেখে তাদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসন এর পেছনের কারণ সম্পর্কে অনুমান করতে না চাইলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, কিছু অভিভাবক এর পেছনে বিষাক্ত খাবার বা পানীয়কে দায়ী করছেন। এসব ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বকিলের স্থানীয় নেতারা। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্তের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছেন তারা। এই সংক্রান্ত ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমবর্ধমানভাবে শেয়ার করা হচ্ছে, যাতে দেখা প্রাপ্তবয়স্করা বিশৃঙ্খল পরিবেশে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা শিশুদের কোলে নিয়ে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
শনিবার, সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, স্কুলগুলিতে পাওয়া জল এবং খাবারের ১৫ টিরও বেশি টক্সিকোলজি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সবেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শিশুদের মধ্যে কোনও ধরনের ড্রাগের কোনও অংশ পাওয়া যায়নি। এর আগে স্থানীয় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খবর উঠেছিল যে স্কুলের শিশুদের পরীক্ষার সময় তাদের পেটে কোকেনের অংশ পাওয়া গেছে। শনিবার, কয়েক ডজন অভিভাবক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাস্কেটবল কোর্টে জড়ো হয়ে প্রশাসনের কাছে জবাব চান। এসময় পুলিশ বাহিনীও উপস্থিত ছিল।
একটি ভিডিওতে, অভিভাবককে বলতে শোনা যায়, যে তার সন্তানকে বিষ দেওয়া হয়েছিল। একটি প্রাইভেট ল্যাবে পরিচালিত পরীক্ষায় তাকে কোকেন পজিটিভ পাওয়া গেছে। একই অবস্থা স্কুলের অন্যান্য ছাত্রদেরও। পাবলিক প্রসিকিউশন অফিস বলেছে যে, তারা শিশুদের পরীক্ষা চালিয়ে যাবে। যদিও, প্রসিকিউটিং অফিস ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে প্রকাশিত অনুরূপ রহস্যময় ঘটনা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, তাপাচুলা শহরে গণবিষের দুটি ঘটনা ঘটেছে, যাতে কয়েক ডজন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।
No comments:
Post a Comment