নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্বস্তি পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। সিবিআই এই মুহূর্তে তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না। তবে, এটি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত করছে না। তাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের নির্দেশও স্থগিত করা হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট ইডি গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনও নির্দেশ জারি করেনি। ফলে মানিক ভট্টাচার্যকে আপাতত ইডি হেফাজতে থাকতে হচ্ছে।
সিবিআই তদন্ত চালিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা মানিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে না। কোথায় তদন্ত চলছে, তদন্তের অগ্রগতি কোথায়, সিবিআই কোন দিকে এগোতে চায়, ৪ সপ্তাহ পরে সেই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হবে। তবে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী এটি সরানো হয়েছে। সেই জায়গায় আসেন গৌতম পাল। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মানিক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদনের শুনানি চলাকালে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। তিনি বলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে কোন যুক্তিতে অপসারণ করা হয়েছে, মানিকের আইনজীবীর যুক্তি কী, তা বিস্তারিত শোনা দরকার। সুপ্রিম কোর্ট পদ থেকে সরানোর নির্দেশ স্থগিত করেও তাকে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেয়নি।
যদিও এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং আদর্শবিদ বিক্রম নাথের একটি ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করেছে যে মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে অপসারণের কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।
No comments:
Post a Comment