তিনটি গাড়ির সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের সীমান্ত সংযোগকারী জাতীয় মহাসড়ক ৩০- এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মধ্যরাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় বাসটি জবলপুর থেকে রেওয়া হয়ে প্রয়াগরাজ যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সোহাগী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে। আহতদের টুনথার সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রেওয়ার পুলিশ সুপার নবনীত ভাসিন জানিয়েছেন যে, সুহাগী পাহাড়ের কাছে একটি বাস এবং একটি ট্রলির মধ্যে সংঘর্ষের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি বলেন, আহত ৪০ জনের মধ্যে ২০ জনকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসপি জানিয়েছেন যে, বাসটি হায়দরাবাদ থেকে ছেড়েছিল এবং গোরখপুরে পৌঁছানোর কথা ছিল। বাসের লোকজন ইউপি, বিহার ও নেপালের বাসিন্দা।
রেওয়া এসপির মতে, সুহাগী পাহাড় থেকে নামার সময় একটি ট্রলি সামনের ট্রাকের সাথে ধাক্কা দেয় এবং তারপরে বাসটি এতে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর, গোন্ডা ও গোরখপুরের বাসিন্দারা।
তথ্য অনুযায়ী, বাসটিতে শতাধিক লোক ছিল। উৎসবে মানুষ বাড়ি ফিরছিল। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৩ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জন মারা যান। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাক ঘটনাস্থলে থাকলেও, তৃতীয় গাড়িটি পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। পাশের টোল প্লাজার সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে তৃতীয় গাড়িটি কোন পথে গিয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিরা শ্রমিক বলে জানা গেছে। বর্তমানে প্রশাসন নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের আধিকারিকদের দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। শিগগিরই নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে। ব্রেক না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণে বাসে আটকে পড়া কয়েকজনের হাত-পা কেটে গিয়েছে। বর্তমানে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment