প্রয়োজন মতো তৈরি করা হয় জিনিস অথবা, প্রয়োজনই উদ্ভাবনের জননী। তাই এই ছেলে মায়ের চাহিদা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তার জন্য উপযুক্ত সাহায্যকারী খুঁজতে শুরু করে। এবং যখন তার অনুসন্ধান এবং পরিকল্পনা সফল হয়েছিল, তখন একটি বড় কীর্তি সামনে এসেছিল। যুবকটি কোন কাজের মেয়ের খোঁজ করেনি, তার মাকে সাহায্য করার জন্য বা তার পুত্রবধূকেও ডাকেনি। বরং সে একটি খাঁটি দেশীয় রোবট তৈরি করে তার সেবায় নিয়োজিত করেন।
কেরালার কান্নুর জেলার ১৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ শিয়াদ তার মাকে সাহায্য করার জন্য একটি রোবট তৈরি করেছেন। যা এখন তাদের গৃহস্থালির সব কাজে খুব ভালোভাবে সাহায্য করে। করোনার সময় ছেলের মাথায় রোবট বানানোর আইডিয়া আসে। যখন সব ধরনের সাহায্য বন্ধ। এরপর কলেজের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায় এবং ছেলেটি একটি দেশীয় রোবট তৈরি করে।
করোনার সময়, যখন প্রতিটি বাড়ি থেকে গৃহকর্মীকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারেনি। এমতাবস্থায় মায়ের একটু সাহায্য দরকার ছিল। কারণ ঘরের সব কাজ একা করা তার ক্ষমতায় ছিল না। সেই সঙ্গে, ছেলে মাকে সাহায্য করার জন্য কিছু পরিকল্পনা শুরু করেছিল, কিন্তু কীভাবে এবং যখন সে তার বিভ্রান্তিতে ব্যস্ত ছিল, তখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়, এবং কলেজের প্রকল্পে রোবটে কাজ করার সুযোগ পায় এবং সেই ইচ্ছা পূরণ হয়। কেরালার মহম্মদ শিয়াদ মাকে সাহায্য করার জন্য একটি রোবট তৈরি করেছেন, যেটি কেবল তার প্রতিভাই দেখায় না বাড়ির বাকি ছোট-বড় প্রতিটি কাজে সাহায্য করে। এক নারীর পোশাক রোবটকে পরিয়েছেন তিনি। যে মাকে খাবারও দেয় এবং জলও দেয়। এখন বাড়িতে একা থাকার পরও মায়ের সঙ্গে সব সময় একজন হেল্পার উপস্থিত থাকে।
গৃহস্থালির কাজ করা রোবটের নাম শিয়াদের দেওয়া 'পাথুতি'। মহিলাদের পোশাক পরিধান করে সে ১০০ শতাংশ বাড়ির চেহারা দিয়েছেন। তরুণের মতে, প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম সার্ভিং প্লেট এবং মহিলা ডামি ব্যবহার করা হয়েছে এটি তৈরিতে। যেখানে একটি অতিস্বনক সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই পুরো রোবটটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে মাত্র ১০,০০০ টাকা। গৃহকর্মী হিসেবে শিয়াদ রোবট তৈরির জন্য অনেক প্রশংসা পাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment